সম্পদ নিয়ন্ত্রকদের অনেকেই ভারতের কর বিধিতে প্রস্তাবিত বদলগুলির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই মনে করছেন, এর ফলে দেশের ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের স্থির-আয়ের মিউচুয়াল ফান্ড শিল্পে প্রভাব পড়তে পারে।
ফাইল ছবি: পিটিআই
শুক্রবার অর্থ বিল, ২০২৩ পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এদিন নিয়মমাফিক ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য কেন্দ্রের আর্থিক প্রস্তাব কার্যকর করার রূপরেখা দেবেন তিনি।
একাধিক সূত্রের খবর, সরকার বাজেটে ঘোষিত কর প্রস্তাবে বেশ কয়েকটি সংশোধনী আনতে পারে। নির্মলা সীতারামন অর্থ বিল ২০২৩-এ প্রায় ৬০টি বদল আনতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
পর পর দুইবার মুলতুবির পর সন্ধ্যা ৬টায় ফের আসরে নামেন সাংসদরা। আর এমন সময়েই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা গিলোটিনের পথে হাঁটেন।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য ভারতের কনসোলিডেটেড তহবিল থেকে এবং তার বাইরের কিছু টাকা প্রদান এবং বরাদ্দের অনুমোদনের জন্য বিল উত্থাপন করেন। তুমুল হই-হট্টগোলের মধ্যেই তা পাস হয় এবং তারপরে সেইদিনের মতো লোকসভা মুলতবি করা হয়।
সম্পদ নিয়ন্ত্রকদের অনেকেই ভারতের কর বিধিতে প্রস্তাবিত বদলগুলির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই মনে করছেন, এর ফলে দেশের ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের স্থির-আয়ের মিউচুয়াল ফান্ড শিল্পে প্রভাব পড়তে পারে। বদলের পর, ঋণ তহবিলের(Debt Fund) হোল্ডিংয়ে বিনিয়োগকারীদের আয়কর হারের উপর নির্ভর করে কর আরোপ করা হবে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এর ফলে করের হার আরও বেশি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বর্তমানে ঋণ তহবিলে বিনিয়োগকারীরা তাঁদের স্ল্যাব অনুযায়ী মূলধন লাভ(ক্যাপিটাল গেইনস)-এর উপর কর প্রদান করেন। হোল্ডিংয়ের সময়কাল তিন বছরের কম হলে এটি প্রযোজ্য হয়। তিন বছরের বেশি সময় ধরে হলে ইনডেক্সেশন সুবিধা সহ ২০ শতাংশ কর বা সেটি ছাড়া ১০ শতাংশ কর আরোপ করা হয়।
অর্থাত্, নতুন ফাইন্যান্স বিল ২০২৩-এর প্রস্তাবনা অনুযায়ী, ঋণ তহবিলে বিনিয়োগ, এখন থেকে সরাসরি স্বল্পমেয়াদী মূলধন লাভ হিসাবে বিবেচিত হবে। প্রস্তাবটি, সংসদ দ্বারা অনুমোদিত হলে, 1 এপ্রিল, 2023-এ বা তার পরে করা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এছাড়াও, প্রস্তাব অনুযায়ী তিন বছরের বেশি সময় ধরে রাখা ঋণ তহবিল আর সূচক সুবিধা ভোগ করবে না।
সংসদের দুই কক্ষে বারবার হট্টগোলের কারণে গতকাল মুলতবি হয়েছে। ব্রিটেন নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সরব হয় বিজেপি শিবির। এদিকে বিরোধীরা পাল্টা হিন্ডেনবার্গ-আদানি দ্বন্দ্বের জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবিতে সরব হন।