ব্যাঙ্কে টাকা রাখা সবচেয়ে নিরাপদ। এমনই ভাবেন বেশিরভাগ মানুষ। কিন্তু সর্ষের মধ্যেই তো ভূত।এমনই এক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে রাজস্থান। রাজস্থানের কোটার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের এক মহিলা শীর্ষ আধিকারিক মানুষের ব্যাঙ্কের প্রতি চরম আস্থা-বিশ্বাসকে ব্যবহার করে গ্রাহকদের কাছ থেকে চার কোটি টাকারও বেশি প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।লোভের বশে তিনি শেয়ারে বিনিয়োগ করে স্বল্প সময়ের মধ্যে উচ্চ রিটার্ন পাওয়ার স্বপ্নে বুঁদ ছিলেন। ৪১ জনেরও বেশি গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে টাকা ব্যবহার করেছিলেন। জালিয়াতি দুই বছর ধরে চলতে থাকে, কিন্তু ব্যাঙ্কের কেউই এ সম্পর্কে কোনও ধারণা করতে পারেননি। (আরও পড়ুন: অপারেশন ব্লু স্টারের বর্ষপূর্তিতে 'খলিস্তান জিন্দাবাদ' স্লোগান স্বর্ণমন্দিরে)
আরও পড়ুন-'পাকিস্তানের আসল উদ্দেশ্য...,' সাংবাদিক পুত্রের প্রশ্নে মোক্ষম জবাব শশীর
আরও পড়ুন: আইফেল টাওয়ার থেকে ৩৫ মিটার উঁচু,মোদীর উদ্বোধন করা চেনাব সেতুতে আছে কলকাতার ছোঁয়া
সূত্রের খবর, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের রিলেশনশিপ ম্যানেজার সাক্ষী গুপ্তা 'ইউজার এফডি (ফিক্সড ডিপোজিট)' লিঙ্কের অপব্যবহার করেন। অভিযোগ, ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ৪১ জন গ্রাহকের ১১০টি অ্যাকাউন্ট থেকে ৪.৫৮ কোটি টাকা অবৈধভাবে তুলে নেন। তদন্ত অনুসারে, সাক্ষী গুপ্তা শেয়ার বাজারে টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। তবে, বাজারে ক্ষতির পরে তিনি ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে টাকা আর জমা করতে ব্যর্থ হন। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত সাক্ষীকে গ্রেফতার করে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তাঁর বোনের বিয়ের আসর থেকে পুলিশ সাক্ষীকে গ্রেফতার করে। (আরও পড়ুন: রেপো রেট কমানোর হ্যাটট্রিক RBI-এর, সঙ্গে ক্যাশ রিজার্ভ রেশিওতেও কাটছাঁট)
আরও পড়ুন: 'জিতলে ১০০ বাপ, হারলে কেউ নেই', মন্তব্য ভূপিন্দর হুডার, পালটা জবাবে রাহুল বললেন…
একজন গ্রাহক যখন তাঁর এফডি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে ব্যাঙ্কে আসেন তখন এই জালিয়াতির বিষয়টি প্রকাশ পায়। এরপর ১৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাঙ্কের তরফে পুলিশের কাছে মামলা দায়ের করা হয়।ওই মহিলা ব্যাঙ্ক আধিকারিক গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত মোবাইল নম্বরও পরিবর্তন করে দেন, যাতে তাঁরা লেনদেনের বার্তা সম্পর্কে জানতে না পারেন। তদন্তকারী আধিকারিক ইব্রাহিম খান বলেন, 'অভিযুক্ত তাঁর পরিবারের সদস্যদের ফোন নম্বরগুলি এই অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গে সংযুক্ত করে চার কোটি টাকারও বেশি টাকা তুলে নেন। এমনকি তিনি এমন একটি সিস্টেম তৈরি করেন যার মাধ্যমে তিনি তাঁর সিস্টেমে ওটিপি পেতেন, যাতে অ্যাকাউন্টধারীরা জালিয়াতির কোনও আভাস না পান।' তবে এই ঘটনায় আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি জারি করেনি। তবে ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দেবে। (আরও পড়ুন: মাস্ক-ট্রাম্প দ্বন্দ্বে ১৪% পতন টেসলার শেয়ারে, একদিনে হাওয়া ১৫৩ বিলিয়ন ডলার)
আরও পড়ন: অ্যাকশন মোডে বেঙ্গালুরু পুলিশ, পদপিষ্ট কাণ্ডে গ্রেফতার RCB-র উচ্চপদস্থ কর্তা
সাক্ষী গুপ্তার গ্রেফতারের খবর পাওয়ার পর একজন গ্রাহক তাঁর টাকা নিরাপদ কিনা তা পরীক্ষা করতে ব্যাঙ্কে আসেন। মহাবীর প্রসাদ বলেন, 'আমি শুনেছি সাক্ষী গুপ্তা লোকেদের কাছ থেকে চার কোটি টাকা প্রতারণা করেছে। আমি এখানে এসেছি আমার টাকা নিরাপদ আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে।' মহাবীর জিজ্ঞাসা করেন, 'আমাদের টাকা কোথায় রাখা উচিত? আমরা বাড়িতে রাখতে পারি না, এখন ব্যাঙ্কেরও এই অবস্থা। আমাদের কী করা উচিত?'