অবশেষে দু'দশকের দৌড় শেষ। আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মণিকা কাপুরের হেফাজত নিয়েছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)।তিনি আমদানি-রফতানি প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত। ২০ বছরেরও বেশি সময় আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গিয়েছিলেন মণিকা। সব ঠিক থাকলে বুধবার রাতেই মণিকাকে নিয়ে ভারতে অবতরণ করবে সিবিআইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি দল। (আরও পড়ুন: রাজস্থানের চুরুতে ভেঙে পড়ল ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান, আশেপাশে মিলল দেহাবশেষ)
আরও পড়ুন-এমএনএস-র বিক্ষোভে পুলিশের অ্যাকশন! ভাষা আন্দোলনে উত্তাল মহারাষ্ট্র
ইউনাইটেড স্টেটস ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট ফর দ্য ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট অফ নিউ ইয়র্ক দ্বিপাক্ষিক প্রত্যর্পণ চুক্তির অধীনে মণিকার প্রত্যর্পণ অনুমোদন করেছে।সূত্রের খবর, মণিকা ওভারসিজ় সংস্থার কর্ণধার মণিকা কাপুর। বুধবার এক বিবৃতিতে সিবিআইয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘মণিকা তাঁর ভাইদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে ১৯৯৮ সালে শিপিং বিল, ইনভয়েস এবং ব্যাঙ্ক সার্টিফিকেট-সহ রফতানি নথি জাল করেছিলেন। এই জাল নথি দেখিয়ে তাঁরা ২.৩৬ কোটি টাকার শুল্কমুক্ত সোনা আমদানির জন্য ছয়টি রিফিলমেন্ট (প্রতিনিধি) লাইসেন্স পেয়েছিলেন।’তারা এই লাইসেন্সগুলি প্রিমিয়ামে আহমেদাবাদের প্রতিষ্ঠান ডিপ এক্সপোর্টসকে বিক্রি করেছিল, যা শুল্কমুক্ত সোনা আমদানির জন্য ব্যবহার করেছিল। এই অনিয়মের কারণে সরকারের প্রায় ১.৪৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিল। (আরও পড়ুন: ফের টিটিপির হামলা পাক সেনার ওপর, একাধিক জওয়ানকে হত্যার দাবি)
আরও পড়ুন: ওষুধে ২০০%, তামার উপর ৫০% শুল্ক চাপালেন ট্রাম্প, কী প্রভাব পড়বে ভারতের ওপর?
অভিযুক্ত মনিকা প্রতারণার পর ১৯৯৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গিয়েছিলেন। যেখানে তিনি দুই ভাই রাজন খান্না এবং রাজীব খান্নার সঙ্গে মিলে একটি গয়নার ব্যবসার জন্য নথি জাল করেছিলেন। এই নথিগুলি ভারত সরকারের কাছ থেকে শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানির লাইসেন্স পেতে ব্যবহার করা হয়েছিল।মণিকার প্রতারণার জেরে ভারতীয় রাজস্ব বিভাগে ৬,৭৯,০০০ মার্কিন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছিল। ভারত ২০১০ সালে কাপুরের প্রত্যর্পণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আবেদন করেছিল।সিবিআই ২০০৪ সালে মণিকা কাপুর এবং তার ভাই রাজন ও রাজীবের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন করার পর চার্জশিট দাখিল করে। মণিকা তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়ায় যোগ না দেওয়ায় তাকে ২০০৬ সালে অপরাধী ঘোষণা করা হয়েছিল।২০১০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশও জারি করা হয়েছিল। একই বছর সিবিআই মার্কিন কর্তৃপক্ষের সাহায্য চেয়েছিল। এদিকে, দিল্লির স্থানীয় আদালত ২০১৭ সালে রাজন এবং রাজীবকে দোষী সাব্যস্ত করে।