কোর্টকে ইডি বলছে, ‘অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ব্যবহার সম্পূর্ণ রূপে অসহযোগী। তিনি জেরার প্রক্রিয়া বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।’
অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও অতশী মারলেনা। (Photo by Sanchit Khanna/ Hindustan Times)
লোকসভা ভোটের মুখে দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি ঘিরে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। এদিকে, সোমবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ইডি হেফাজত ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। এর আগে কোর্টে সওয়াল জবাব পর্ব চলাকালীন অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নিয়ে একাধিক বক্তব্য পেশ করেছে ইডি। ইডির তরফে আইনজীবী সলিসিটার জেনারেল এসভি রাজু, কোর্টকে জানিয়েছেন, যে ইডির সঙ্গে সহযোগিতা করছেন না কেজরিওয়াল।
দিল্লির হাইভোল্টের আবগারি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ইডি হেফাজতের মেয়াদ বেড়েছে। ২০২৪ লোকসভা ভোট যেখানে ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে, সেখানে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত কেজরিওয়ালকে এই মামলায় ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। এদিকে, কোর্টকে ইডি বলছে, ‘অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ব্যবহার সম্পূর্ণ রূপে অসহযোগী। তিনি জেরার প্রক্রিয়া বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।’ এখানেই শেষ নয়। ইডি জানিয়েছে, কেজরিওয়াল বলেছেন, ‘বিজয় নায়ার তাঁর কাছে রিপোর্ট করেন না। তিনি দিল্লির মন্ত্রী অতশী মারলেনা ও সৌরভ ভরদ্বাজের কাছে রিপোর্ট করেন। তাঁর সঙ্গে বিজয় নায়ারের দেখাশোনা খুবই সীমিত।’
উল্লেখ্য, দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় এই বিজয় নায়ারের নাম উঠে আসছে। এককালে আম আদমি পার্টির কমিউনিকেশন ইন চার্জ ছিলেন এই বিজয় নায়ার। উল্লেখ্য, এই দুর্নীতির সময়কালের মধ্যে আপ-এর ওই পদে বিজয় নায়ার আসীন ছিলেন। এদিকে, রউস অ্যাভিনিউ কোর্টে যখন অতশীকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেন যে তাঁর নাম জেরায় কেজরিওয়াল নিয়েছেন কি না, সেই প্রশ্ন শুনতেই অতশী পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যান।
এদিকে, কোর্টে ইডি দাবি করেছে, ‘কেজরিওয়াল তাঁর পাসওয়ার্ড শেয়ার করছেন না।’ এদিকে, এই শুনানির সময় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আর তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আম আদমি পার্টির অতশী মারলেনা ও সৌরভ ভরদ্বাজ। এই দুই মন্ত্রীর নামই জেরার মুখে কেজরিওয়াল বলেছেন বলে দাবি ইডির।