বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > ED on Money Laundering: অভিযোগ সরকারি ফান্ডে আর্থিক তছরুপের! এবার ইডির নজরে কংগ্রেসের সলমান খুরশিদের স্ত্রী সহ ৩
পরবর্তী খবর
ED on Money Laundering: অভিযোগ সরকারি ফান্ডে আর্থিক তছরুপের! এবার ইডির নজরে কংগ্রেসের সলমান খুরশিদের স্ত্রী সহ ৩
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 05 Mar 2024, 07:53 AM ISTSritama Mitra
ইডির তরফে জানানো হয়েছে, ড. জাকির হুসেন মেমোরিয়াল ট্রাস্ট গ্রান্ট-ইন-এইড পেয়েছিল ৭১.৫ লাখের। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদনের সেই টাকায় ক্যাম্প করা নিয়ে পরও তা সঠিক জায়গায় ব্যবহার হয়নি।
সলমন খুরশিদ
কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সলমান খুরশিদের স্ত্রী লুইস খুরশিদ সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ আনল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি)। এই সংক্রান্ত মামলায় উত্তর প্রদেশের ফারুকাবাদের ড. জাকির হুসেন ট্রাস্টের ৪৬ লাখের সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছে কেন্দ্রীয় সরকারি আর্থিক তদন্তকারী এজেন্সি। সলমান খুরশিদের স্ত্রী লুইস সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ৭১.৫০ লাখের কেন্দ্রীয় সরকারি ফান্ডে আর্থিক তছরুপের।
ইডির তরফে জানানো হয়েছে, ড. জাকির হুসেন মেমোরিয়াল ট্রাস্ট গ্রান্ট-ইন-এইড পেয়েছিল ৭১.৫ লাখের। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদনের সেই টাকায় ক্যাম্প করা নিয়ে পরও তা সঠিক জায়গায় ব্যবহার হয়নি। এছাড়াও বড়সড় অভিযোগে দাবি কর হচ্ছে, ওই টাকা ট্রাস্টের সদস্য প্রত্যুষ শুক্লা, ট্রাস্টের সেক্রেটারি মহম্মদ আথার, ট্রাস্টের প্রজেক্ট ডিরেক্টর লুইস খুরশিদরা তছরুপ করেছেন। ইডির অভিযোগ, এই গ্রান্ট-ই-এডের টাকা সঠিকভাবে ব্য়বহার না করে এই অভিযুক্তরা তাঁদের ব্যক্তিগত কাজে ওই টাকা ব্যবহার করেছেন। সোমবার ইডি একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সেখানে অভিযোগের কথা জানায়।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি জানিয়েছে, উত্তর প্রদেশের ফারুকাবাদের ২৯.৫১ লাখের অস্থাবর সম্পত্তি অ্যাটাচ করা হয়েছে। সেই সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ড. জাকির হুসেন মেমোরিয়াল ট্রাস্টের আওতাধীন চাষের জমি। ইডি জানিয়েছে, ২০০২ প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের আওতায় এই অস্থাবর সম্পত্তি অ্যাটাচ করা হয়েছে। এছাড়াও ট্রাস্টের ৪ টি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট অ্যাটাচ করেছে ইডি। সেখানের অর্থের অঙ্ক ১৬.৪১ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, গোটা বিষয়টি ইডির উত্তর প্রদেশের লখনউ অফিস দেখভাল করছে। এর আগে রাজ্য পুলিশের কাছে ১৭ টি এফআইআর এই অভিযোগ ঘিরে রেজিস্টার হয়। অভিযোগ আসে, উত্তর প্রদেশের পুলিশরে ইকোনমি অফেন্স উইংয়ে। অভিযোগ মূলত ছিল ট্রাস্টের প্রতিনিধি প্রত্যুষ শুক্লার বিরুদ্ধে। তারপরই ১৭ টি মামলায় চার্জশিট তৈরি করে পুলিশ। ফলে উত্তর প্রদেশ পুলিশের কাছে দায়ের হওয়া ১৭ টি অফআইআর-ই এই মামলার মূল সূত্র। আর সেই জায়গা থেকে এই বড়সড় অভিযোগ উঠে এসেছে সলমান খুরশিদের স্ত্রী ও বাকি ২ জনের বিরুদ্ধে।