বিশ্বের ৫৭টি দেশের ওপর শুল্ক চাপিয়ে নিজের দেশকেই মন্দার দিকে ঠেলে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই আবহে মার্কিন শেয়ার বাজারে ধস নেমেছে। এই আবহে বিনিয়োগকারীদের মাথায় হাত। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও মার্কিন শেয়ার বাজারে রক্তক্ষরণ বজায় ছিল। তবে এরই মাঝে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য, 'এটাই বড়লোক হওয়ার সময়।' ট্রাম্পের স্পষ্ট বক্তব্য, 'আমার শুল্ক নীতি বদলাবে না।' কিন্তু এতে কীভাবে আমেরিকার লাভ হতে পারে? ট্রাম্পের দাবি, শুল্কের ভরে ন্যান্য দেশগুলি আমেরিকায় রফতানি করার বদলে, সরাসরি সেখানেই কারখানা তৈরি করবে। এতে আমেরিকার অর্থনীতি ফুলে-ফেঁপে উঠতে পারে। (আরও পড়ুন: 'গরিব মুসলিমরা তো প্রতিবাদ করছে না', বিল নিয়ে দাবি রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের সভাপতির)
আরও পড়ুন: 'ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক…', মোদী-ইউনুস বৈঠকের পর বড় মন্তব্য হাসিনা বিরোধী নেতার
আরও পড়ুন: সীমান্তে বাড়ছে সহিংসতা, ফের এক অনুপ্রবেশকারীকে খতম করল BSF
তবে ট্রাম্পের এই সব দাবির মাঝেই ৪ এপ্রিল ডাও জোনসে আরও ২২৩১.০৭ পয়েন্টের পতন দেখা গেল। তার আগে গত ৩ এপ্রিল ডাও জোনস পড়েছিল ১৬৭৯ পয়েন্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, ৪ এপ্রিল এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক কমেছে ৫.৯৭ শতাংশ, যা ভারতের শেয়ার বাজার থেকে বেশ কয়েক গুণ। এদিকে ডাও জোনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ ৫.৫ শতাংশ পড়ে যায়। নাসডাক কম্পোজিট ৫.৮২ শতাংশ নেমেছে। (আরও পড়ুন: ভারতকে শুল্কে ছাড় দিতে পারেন ট্রাম্প? মার্কিন রিপোর্টে সামনে এল নয়া দাবি)
আরও পড়ুন: কানাডায় ভারতীয় নাগরিককে খুন, মৃত্যু ঘিরে ঘনীভূত রহস্য, মুখ খুলল দূতাবাস
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের পালাটা শুল্ক চাপানোর ঘোষণায় মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবা দেখছে ওয়াল স্ট্রিট। এর জেরে মার্কিন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির হিড়িক দেখা দিয়েছে। বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের স্টক থেকে শুরু করে অপরিশোধিত তেলের দরে ধাক্কা লেগেছে গতকাল। এদিকে যে সোনার ওপরে বিনিয়োগকারীরা এতদিন ভরসা করে ছিলেন, তাতেও বড়সড় পতন দেখা যায়। এই সবের মাঝেই ছোট মার্কিন সংস্থাগুলি সবচেয়ে খারাপ ভাবে ধাক্কা খেয়েছে। (আরও পড়ুন: 'ইউনুসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে তৎপর ভারতীয় RAW এজেন্টরা...')
আরও পড়ুন: ভারতে ওয়াকফ সংশোধনী পাশ হতে বাংলাদেশ থেকে 'কান্নার সুর' ভাসাল জামাতের ছাত্রশিবির
উল্লেখ্য, ট্রাম্প মসনদে আসার পরপরই মার্কিন শেয়ার বাজারে উত্থান দেখা গিয়েছিল। আরও বেশি ব্যবসার আশায় ফুলে ফেঁপে উঠেছিল স্টক মার্কেট। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে 'আবার মহান' বানাতে গিয়ে শেয়ার বাজারের ১২টা বাজিয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর শুল্ক নীতির জেরে এখ মার্কিন মুলুকে বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মন্দার শঙ্কাও জোরালো হয়েছে। সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতির আতঙ্কও তাড়া করছে মার্কিনিদের। বিশ্লেষকরা বলছেন যে ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতির নতুন লক্ষণ এবং ট্রাম্পের শুল্ক কৌশলকে ঘিরে অস্পষ্ট ধারণার কারণে বিনিয়োগকারীদের মনোভাব নড়বড়ে গিয়েছে। নতুন করে বাণিজ্য যুদ্ধের সম্ভাবনা বিশ্ববাজারে ছায়া ফেলেছে। গোল্ডম্যান শ্যাকস সম্প্রতি জানিয়েছে, মার্কিন মুলুকে এখন মন্দার সম্ভাবনা ৩৫ শতাংশ। আগে এই হার ছিল ২০ শতাংশ। এদিকে এর আগে মার্কিন জিডিপি বৃদ্ধির হার ২ শতাংশ হতে পারে বলে দাবি করেছিল তারা। এখন সেই হারের পূর্বাভাস নামিয়ে আনা হয়েছে ১.৫ শতাংশে।