হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে বৈঠকে মুখোমুখি হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আর সেই বৈঠকেই উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এই আবহে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন বাতিল হয়ে যায়। এদিকে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যে চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, তাতেও সই করেননি ট্রাম্প ও জেলেনস্কি। সেই বৈঠকের পরে এক বিবৃতি জারি করে ট্রাম্প আবার দাবি করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অপমান করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। (আরও পড়ুন: বাড়ল রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম, ১ মার্চ থেকে কলকাতায় LPG-র রেট কত হল?)
আরও পড়ুন: মার্চ থেকে আসছে একাধিক পরিবর্তন, সরাসরি প্রভাব পড়বে আম জনতার পকেটে
উল্লেখ্য, ইউক্রেন যুদ্ধে প্রথম থেকেই ওয়াশিংটন ডিসি-কে পাশে পেয়েছিলেন জেলেনস্কি। তবে বিগত বছরগুলিতে মার্কিন মসনদে ছিলেন ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন। ২০২৫ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে সেই সব বদলে যায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব নেন ট্রাম্প। এবং তিনি ইউক্রেনের বদলে রাশিয়ার দিকে ঝুঁকতে থাকেন। এমনকী একটা সময়ে জেলেনস্কিকে 'একনায়ক' আখ্যা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। মার্কিন সাহায্যের অর্থ ফেরত চেয়েছিলেন। আগামীতে ইউক্রেনকে সাহায্য করবেন না বলেও জানিয়ে দেন ট্রাম্প। এরই মধ্যে পূর্ব ইউরোপে শান্তি ফেরাতে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসেছিল আমেরিকা। যদিও সেই আলোচনায় ঠাঁই পায়নি ইউক্রেন। এত কিছুর মাঝেই ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউজে মুখোমুখি হন ট্রাম্প এবং জেলেনস্কি। সেই সাক্ষাতের দিকে নজর ছিল গোটা বিশ্বের।
ওভাল অফিসে জেলেনস্কিকে কড়া কথা শোনান ট্রাম্প। বলেন, 'আপনার দেশের মানুষ খুবই সাহসী। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনাকে হয় রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করতে হবে না হলে আমরা আর আপনাদের সঙ্গে নেই। আর আমরা যদি না থাকি তাহলে আপনাকে একা লড়তে হবে।' ট্রাম্প বলেন, 'তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে জুয়া খেলছেন জেলেনস্কি'। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্প বলেন, 'মানুষ মরছে। যুদ্ধ করার জন্যে সেনা নেই। আপনার হাতে বিকল্প কমছে। একবার আমরা চুক্তি সই করলে আপনি ভালো অবস্থানে চলে যাবেন। কিন্ত আপনাকে আদৌ কৃতজ্ঞ মনে হচ্ছে না। এটা ভালো বিষয় নয়।'