২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে সেখানে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন তাঁরা। সেই অবস্থান বিক্ষোভ আজ, ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর গড়িয়েও জারি আছে। এদিকে মোটের ওপর এই অবস্থান শান্তিপূর্ণ। তবে অফিসের সামনে কোনও সরকারি গাড়ি এলেই অবস্থানকারীরা স্লোগান তুলছেন - 'এক দুই তিন চার, সব শালারা বাটপাড়।'
Ad
'এক দুই তিন চার, সব *** বাটপাড়', যাঁরা ইউনুসকে গদিতে বসালেন, তাঁরাই এখন রাস্তায়
ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার অফিসের গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ জারি রেখেছেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা। ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে সেখানে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন তাঁরা। সেই অবস্থান বিক্ষোভ আজ, ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর গড়িয়েও জারি আছে। এদিকে মোটের ওপর এই অবস্থান শান্তিপূর্ণ। তবে অফিসের সামনে কোনও সরকারি গাড়ি এলেই অবস্থানকারীরা স্লোগান তুলছেন - 'এক দুই তিন চার, সব শালারা বাটপাড়।' (আরও পড়ুন: মমতাকে নিয়ে ঠাট্টা করায় ব্যক্তির নামে ২০২২-এ হয় মামলা, 'ব্যর্থ' পুলিশকে HC বলল…)
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কার্যত রাস্তায় নেমে 'যুদ্ধ' করেছিলেন বাংলাদেশের একটা বড় অংশ। প্রাথমিক ভাবে সেই আন্দোলন শিক্ষার্থীদের হলেও পরে তাতে যোগ দেন রিক্সা চালক থেকে শুরু করে সুশীল সমাজের বিশিষ্ট নাগরিকরা। এই আবহে হাসিনা জমানায় পুলিশের গুলি এবং লাঠির বাড়িতে জখম হয়েছিলেন বহু 'যোদ্ধা'। হাসিনা পরবর্তী সময়ে সেই সব 'যোদ্ধাদের' যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহণ করার কথা ঘোষণা করেছিল ইউনুস সরকার। এদিকে ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এখন কেউ সরকারে কেউ নতুন দলে। তবে যে সকল যোদ্ধারা পথে নেমে জীবন বাজি রেখে আন্দোলন করেছিলেন, তাঁরা আজও সন্তুষ্ট নন। এই আবহে ইউনুসের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছেন হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে জখম ব্যক্তিরা। (আরও পড়ুন: ৬ দিনে দ্বিতীয়বার কলকাতায় দাম কমল সোনার, জানুন হলুদ ধাতুর আজকের রেট)
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৬ ফেব্রুয়ারি মিছিল করে ঢাকার তেজগাঁওয়ে অবস্থিত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে আসেন 'জুলাই আন্দোলনে' জখম ব্যক্তিরা। এরপর সেখানেই রাস্তায় বসে পড়ে অবরোধ করেন তাঁরা। বিভিন্ন স্লোগান তোলেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পর্যাপ্ত সহায়তা। এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ইউনুসের কার্যালয়ের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: এমন ঘটনা কি আগেও ঘটেছে? পুনেতে বাসে পড়ে একাধিক কন্ডোম, অন্তর্বাস, মদের বোতল!)
অবস্থান বিক্ষোভে সামিল ব্যক্তিদের অভিযোগ, আন্দোলনে আহতদের শ্রেণি বিন্যাসে বৈষম্য হয়েছে। এদিকে শহিদদের পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া আরও দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি চলিয়ে যাবেন বলে দাবি করেন আন্দোলনকারীরা। উল্লেখ্য, এর আগেও বিভিন্ন সময় আন্দোলনে আহতরা ঢাকার শাহবাগ, উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অবরোধ করেছিলেন। এই আবহে সম্প্রতি আন্দোলনকারীদের ক্ষোভ মেটাতে ইউনুসের সরকার ঘোষণা করে, হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে মৃতদের 'জুলাই শহিদ' এবং আহতদের 'জুলাই যোদ্ধা' বলে অভিহিত করা হবে। এদিকে প্রতিটি ‘জুলাই শহিদ’ পরিবারের জন্য এককালীন ৩০ লাখ টাকা ও মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা প্রদান করা হবে। ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ শারীরিক অবস্থার ভিত্তিতে তিনটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী ভাতা দেওয়া হবে তাঁদের। এখানেই অভিযোগ, আহতদের শ্রেণি বিন্যাসে বৈষম্য করা হয়েছে।