শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশ জুড়ে অরাজকতা শুরু হয়েছে। এবার এই তালিকায় নতুন সংযোজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ। আবাসনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের চাপে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতা তো আছেই, তার সঙ্গে বাংলাদেশে এবার শুরু হবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিপর্যয়।আর তার প্রভাব পড়বে সে দেশের সাধারণ মানুষের উপর।
জানা গেছে, শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রবিবার দুপুর ১২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বলা হয়েছে।এক নির্দেশিকায় কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল আলম জানিয়েছেন, রবিবার (২২ জুন) থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ছাত্র-ছাত্রীদের একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পেশাগত এমবিবিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী এবং বিদেশি শিক্ষার্থীরা এই নির্দেশের বাইরে রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুল আলম বলেন, 'ঢাকা মেডিকেল কলেজের পড়ুয়ারা দ্রুত হোস্টেল নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। এরমধ্যে কলেজের পুরনো একটি ছাত্রাবাস বসবাসের অনুপযোগী ঘোষণা করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রক। তবে সেখানে কয়েকজন ছাত্র এখনও থাকছেন। তাঁদের সেখান থেকে সরে যাওয়ার কথা বললেও সেখানে থাকছেন।
আরও পড়ুন-রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ! ইরান থেকে ২ প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের উদ্ধারে ভারত
তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর নতুন ভর্তি হওয়া প্রথম বর্ষের এমবিবিবিএস শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ বছর ঢাকা মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি বয়কটের ঘোষণা করেছে। এসব বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সব কিছু বিবেচনা করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।এদিকে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আবাসিক ও একাডেমিক ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার জন্য আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।শুক্রবারও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।পাশাপাশি মিলন চত্বরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন-রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ! ইরান থেকে ২ প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের উদ্ধারে ভারত
গত ২৮ মে থেকে পাঁচ দফা দাবি তুলে আন্দোলন শুরু করেছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা।তৌহিদুল আবেদিন তানভীর নামে এক ছাত্র বলেন, 'গত সাত থেকে আট বছর ধরে আমাদের এই সমস্যা। আমরা বিভিন্ন সময় কতৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। গত ২৮ মে থেকে আমরা ব্যানারের মাধ্যমে অবস্থান কর্মসুচি শুরু করি। এরমধ্যে কয়েকবার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের কোন আশ্বাস দেয়নি। এরপর ৬ জুন থেকে সকল একাডেমিক কাজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।'