গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণে কোর্ট বলছে, রেশন কার্ড প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের দ্বারা রেশন কার্ডে উল্লিখিত ঠিকানায় রেশন কার্ডের ধারক অবস্থান করছেন তা নিশ্চিত করার জন্য কোনও ব্যবস্থা নেই।
রেশন কার্ড নিয়ে কী বলল কোর্ট?
রেশন কার্ড শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী কেনার জন্য ব্যবহার হয়, এটি কারোর বাড়ি বা ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসাবে বিবেচিত হয় না। কোর্ট বলছে, রেশন কার্ড ইস্যু করা হয় সামগ্রীর সরবরাহের জন্য। কোর্ট বলছে, কোনও প্রকল্পের সুবিধা পেতে এই রেশনকার্ডকে অবশ্যিক নথি হিসাবে ধার্য করা আইনত সিদ্ধ নয়। মামলাটি ছিল একটি এলাকায় উন্নয়নের কাজের জন্য বাসিন্দাদের স্থানান্তরকরণ নিয়ে। সেখানেই রেশন কার্ডকে পরিচয়পত্রের মান্যতা দেওয়া নিয়ে ওঠে প্রসঙ্গ। সেই মর্মে রায় দিয়েছে কোর্ট।
মামলা চলছিল দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি চন্দ্রধারী সিংয়ের এজলাসে। পিটিশন ছিল কাটপুতলি কলোনির বাসিন্দাদের। এলাকার উন্নয়নের জন্য তাঁদের বিকল্প জায়গায় স্থানান্তর নিয়ে যে স্কিম দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে চলছিল মামলা। সেই মামলার সময়ই কোর্ট বলে, যে কোনও প্রকল্পের সুবিধা পেতে রেশন কার্ডকে আবশ্যিক নথি হিসাবে তুলে ধরা স্বেচ্ছাচারিতা ও আইন বিরুদ্ধ। কোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘রেশন কার্ডের সংজ্ঞা অনুসারে, একে ইস্যু করার উদ্দেশ্য হল ন্যায্যমূল্যের দোকানগুলির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা। অতএব, এটি কোনও রেশন কার্ড হোল্ডারের ঠিকানার প্রমাণপত্র হতে পারে না।’
গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণে কোর্ট বলছে, রেশন কার্ড প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের দ্বারা রেশন কার্ডে উল্লিখিত ঠিকানায় রেশন কার্ডের ধারক অবস্থান করছেন তা নিশ্চিত করার জন্য কোনও ব্যবস্থা নেই। দিল্লি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ বলছে, রেশন কার্ডের লক্ষ্য হল এই দেশের নাগরিকদের ন্যায্য মূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহ করা নিশ্চিত করা। সুতরাং, এটি ঠিকানার প্রমাণের একটি নির্ভরযোগ্য উৎস নয় কারণ সুযোগটি পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ।