গার্হস্থ্য হিংসা আইনে স্বামী-স্ত্রীর ভরণপোষণের ক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় বিয়ের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। বিচারপতি স্বর্ণকান্ত শর্মার বেঞ্চ বলেছে, যদি কোনও ব্যক্তি স্বেচ্ছায় দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন, তাহলে তিনি তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণপোষণের দায় অস্বীকার করতে পারেন না। উল্লেখ্য, নিজের দ্বিতীয় স্ত্রীর ভরণপোষণের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এক ব্যক্তি মামলা করেছিলেন দিল্লি হাইকোর্টে। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির সময় এই পর্যবেক্ষণ করেন উচ্চ আদালতের বিচারপতি। (আরও পড়ুন: চিনা মাদক পাচারের অভিযোগে আমেরিকায় ধৃত পঞ্জাবি গ্যাংস্টার, কে এই ওপিন্দর সিং?)
আরও পড়ুন: আজই শেষ আলোচনা, ট্রাম্প বললেন- 'ভারতের সাথে শুল্ক চুক্তির খুব কাছাকাছি আমেরিকা'
আবেদনকারী স্বামী যুক্তি দিয়েছিলেন যে এটি তার দ্বিতীয় বিবাহ এবং তার প্রথম বিবাহ থেকেও সন্তান রয়েছে। তবে আদালত তার আদেশে উল্লেখ করেছে যে আবেদনকারী স্বেচ্ছায় পুনরায় বিয়ে করেছেন এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রী এবং সন্তানদের গ্রহণ করেছেন। এমতাবস্থায় নিজের আইনি বাধ্যবাধকতা এড়াতে দ্বিতীয় স্ত্রীর ভরণপোষণ এড়িয়ে যেতে পারেন না তিনি। এবং ভরণপোষণ এড়িয়ে যেতে দ্বিতীয় বিবাহকে অজুহাত হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন না আবেদনকারী।
দুই পক্ষের দাবি কী? ওই মহিলা আদালতকে জানান, ১৯৮৭ সালে তাঁর প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি একাই দুই ছেলেকে বড় করে তুলছিলেন। সেই সময়, এই মামলার আবেদনকারী ব্যক্তি তাঁকে তাঁর সন্তানদের যত্ন এবং পিতার স্নেহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই সময় আদালতে আবেনকারী দাবি করেছিলেন যে তাঁর স্ত্রী স্বেচ্ছায় শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন এবং ফিরে আসার বা পুনর্মিলনের কোনও চেষ্টাও করেননি। এই আবহে দ্বিতীয় স্ত্রী এবং তার সন্তানদের ভরণপোষণের দায় থেকে মুক্তি পেতে চেয়েছিলেন আবেদনকারী সেই ব্যক্তি। তবে দিল্লি হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিল, স্ত্রী প্রথম হোক বা দ্বিতীয়, উভয়েই খোরপোষের অধিকারী।