আবারও লিভ-ইন পার্টনারের হাতে খুন প্রেমিকা। গুজরাটে লিভ-ইন পার্টনার মহিলা পুলিশ অফিসারকে খুনের অভিযোগ উঠেছে সিআরপিএফ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে।খুনের পর তিনি প্রেমিকা যে থানায় কর্তব্যরত ছিলেন, সেখানে গিয়েই আত্মসমর্পণ করেন।
আরও পড়ুন-দুই ভাই, এক বউ! হিমাচলের ‘দ্রৌপদী প্রথা’য় সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়
ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের কচ্ছ জেলায়। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সিআরপিএফ জওয়ানের নাম দিলীপ ডাংচিয়া। তাঁর সঙ্গে প্রেম ছিল কচ্ছের অঞ্জর থানায় কর্মরত মহিলা অফিসার অরুণা নাটুভাই যাদবের। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে অরুণার পৈতৃক বাড়ি সুরিন্দরনগরে। কিন্তু তাঁর পোস্টিং ছিল অঞ্জরে। ২০২১ সালে ইনস্টাগ্রামে তাঁর আলাপ হয় দিলীপের সঙ্গে। ক্রমে তাঁরা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। একসঙ্গে থাকতেও শুরু করেন।ম্প্রতি তারা দুজনেই বিয়ে করার পরিকল্পনা করছিলেন।
আরও পড়ুন-দুই ভাই, এক বউ! হিমাচলের ‘দ্রৌপদী প্রথা’য় সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়
পুলিশ জানিয়েছে, গত শুক্রবার রাতে ২৫ বছর বয়সি অরুণাবেন এবং দিলীপের মধ্যে তীব্র বচসা হয়। সেই সময় অরুণাবেন দিলীপের মাকে কুমন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। এরপরই রাগের বশে দিলীপ অরুণার গলা টিপে ধরে এবং তাঁকে দম বন্ধ করে খুন করে। রাতটুকু প্রেমিকার মৃতদেহের সঙ্গেই কাটান দিলীপ। এরপর সকাল হতেই হাজির হন আঞ্জার পুলিশ স্টেশনে। পুলিশের কাছে গোটা ঘটনা স্বীকারও করেন তিনি।জানা গেছে, অভিযুক্ত দিলীপ তিনি মণিপুরে কর্মরত থাকলেও অরুণার গ্রামের পাশের গ্রামে থাকতেন। তাঁর সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন অরুণাবেন। আঞ্জার বিভাগের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ মুকেশ চৌধুরী বলেছেন, ‘২০২১ সালে ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে অরুণার সঙ্গে দিলীপের আলাপ হয়েছিল। বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁরা লিভ-ইন করছিলেন। দু’জনে বিয়ে করার পরিকল্পনাও করেছিলেন।’ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে দিলীপকে। কেন তিনি এমন কাজ করলেন তা জানতে চাওয়া হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুরো বিষয়টাই।