রাজ্যসভায় বিজেপির সদস্য সংখ্যাও কম। তার উপর এমন জোরাল দাবি তোলেন খাড়গে। যদিও বরখাস্ত করা হয়নি শমীক ভট্টাচার্যকে। কদিন আগে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে খাড়গে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন শমীক। আর অধীরবাবুকে বিজেপিতে যোগ দিতে আহ্বান করেন। তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তখনই বাধা দিতে থাকেন সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।
Ad
কংগ্রেস সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।
ইন্ডিয়া জোট ঐক্যবদ্ধ আছে। সেটা লোকসভা এবং রাজ্যসভাতে বারবার বুঝিয়ে দেন জোটের সাংসদরা। প্রত্যেকটি ইস্যুতে এনডিএ সরকারকে চেপে ধরছে ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। সেটা বিপুল পরিমাণ খরচ করে তৈরি হওয়া সংসদ ভবন চুঁইয়ে জল পড়া থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় বাজেটে অবিজেপি রাজ্যগুলিকে বঞ্চনা নিয়েও। এবার বঙ্গ– বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের পদত্যাগ দাবি করলেন কংগ্রেস সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। আর এই দাবিতে আওয়াজ তুলে পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেসের।
এই দারুণ কক্ষ সমন্বয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। কারণ বিজেপি এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি লোকসভা নির্বাচনে। বরং ইন্ডিয়া জোট শক্তিশালী হয়েছে বিপুল আসন জয় করে। সেখানে বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা যখন নানা ইস্যুতে এনডিএ সরকারকে চেপে ধরছিল তখন বারবার তাঁদের বাধা দিয়েছেন বিজেপির সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে। আর তার জেরেই শমীক ভট্টাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন কংগ্রেস সাংসদ। বিরোধীদের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস এখন তৃতীয় বৃহত্তম দল। আর তার সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক ভাল।
ওইদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ রাজ্যসভায় ডেপুটি চেয়ারপার্সন হরিবংশ নারায়ণ সিংয়ের কাছে নোটিশ এনেছিলেন। তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। আর তখনই বাধা দিতে থাকেন বিজেপির সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। এই ঘটনার প্রতিবাদে কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক সাংসদের কথা বলার অধিকার আছে সংসদে। যখন কেউ একজন চেষ্টা করছেন নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে, তখন অন্য একজন লাগাতার বাধা দিয়ে যাচ্ছেন। আপনি ওনাকে বরখাস্ত করুন।’ খাড়গের এই রণংদেহী মেজাজে চাপে পড়ে যায় বিজেপি।