গত জুলাই এবং অগস্ট মাসের শুরুতে বাংলাদেশের যুব সম্প্রদায় এবং সাধারণ মানুষ পথে নেমেছিলেন। সেই আন্দোলনের জেরে পতন ঘটে শেখ হাসিনার সরকারের। বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। সেই সময় হাসিনা বিরোধী সেই আন্দোলনকে সমর্থন করেছিল বিএনপি। এরপর বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার। আশা করা হয়েছিল, এই সরকারের অধীনে দ্রুতই বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। তবে সংস্কারের নামে বাংলাদেশের নির্বচন নিয়ে টালবাহানা করতে দেখা গিয়েছে ইউনুসকে। এই আবহে এবার ফের পথে নামার ডাক দিল বিএনপি। (আরও পড়ুন: 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে…', নাম না নিয়ে ভারতকে নিয়ে বড় মন্তব্য জামাত প্রধানের)
আরও পড়ুন: পাক মহিলার গর্ভে ভারতীয় সন্তান, পঞ্চমবার মা হচ্ছেন 'PUBG প্রেমিকা' সীমা হায়দার
গতকাল বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁওয়ে জনসভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির বলেন, 'আপনারা কি সত্যি সত্যি পরিবর্তন চান নাকি আবার ওই আওয়ামি লিগের নৌকায় ফিরে যেতে চান? তাহলে ৫ অগস্ট আপনারা যেমন রাস্তায় নেমেছিলেন, আবারও সেভাবেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামতে হবে। ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য রাস্তায় নামতে হবে।' (আরও পড়ুন: ১ বছরে অবিশ্বাস্য ১০০০০% লাফ মাল্টিব্যাগার শেয়ারের দামে, তারপর…)
আরও পড়ুন: সকল ধর্মের মানুষের মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা, ইউনুসের কাছে ফোন হোয়াইট হাউসের
এরপর সরাসরি কারও নাম না নিয়েই বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'দেশে এখন অনেক কিছু শুরু হয়েছে। কিছু কিছু মানুষ এখন বিভিন্ন রকম কথা বলছেন। বিভিন্ন রকম কথা বলা বন্ধ করুন। বিশেষ করে দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে ভুল কথা বা উত্তেজনামূলক কথা বলে দেশের মানুষকে আর বিভ্রান্ত করবেন না। আমরা শান্তিতে একটা নির্বাচন করতে চাই। যে ভোটের মাধ্যমে আমরা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে চাই। তারা সরকারব্যবস্থায় পরিবর্তন আনবে, চুরি বন্ধ করবে, দুর্নীতি বন্ধ করবে, ঘুষ-গুন্ডাগিরি বন্ধ করবে, দখলদারি বন্ধ করবে।' (আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে 'লাল কম্বল রহস্য', সেই রাত নিয়ে কী বয়ান মৃত চিকিৎসকের সহকর্মীদের?)
আরও পড়ুন: আরজি করের খুনকে 'আত্মহত্যা' বলে 'চালাতে চেয়েছিলেন' কে? সামনে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, 'অনেকেই বলার চেষ্টা করেন, বিএনপি তো পারেনি। বিএনপি ১৫ বছর লড়াই করেছিল বলেই তো তোমরা পেরেছ। তা না হলে এই জায়গাটা তো তৈরি হত না। আমরা ১৫টি বছর অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে একটা পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। সেখানে তোমাদের বাহাবা দিই, কৃতজ্ঞতা জানাই। তোমরা সাহস করে দাঁড়িয়েছিলে। এই কারণেই শেখ হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে।'