বিএনপির বর্ধিত সভায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য রাখলেন খালেদা জিয়া এবং তাঁর ছেলে তথা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উল্লেখ্য, চিকিৎসা করাতে এখন লন্ডনে আছেন খলেদা। এদিকে তারেকও ব্রিটেনেই আছেন। এই আবহে আজকের জনসভায় খালেদা দাবি করলেন, বাংলাদেশের শত্রুরা এখনও গভীর চক্রান্ত করে চলেছে। অপরদিকে বর্তমানে ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তারেক রহমান। (আরও পড়ুন: গোল্ড কার্ড প্ল্যানে এবার ভারতীয়দের চাকরি দিতে পারবে মার্কিন সংস্থাগুলি: ট্রাম্প)
আরও পড়ুন: 'এক দুই তিন চার, সব *** বাটপাড়', যাঁরা ইউনুসকে গদিতে বসালেন, তাঁরাই এখন রাস্তায়
আরও পড়ুন: ইউনুসের সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে ৬ মাসে কত আয় করলেন নাহিদ ইসলাম?
আজকে বিএনপির সভায় খালেদা জিয়া বলেন, 'আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এখনও ফ্যাসিস্টদের সঙ্গীরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্তে লিপ্ত। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের নবনির্মাণের জন্য আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করে হবে। ঐক্যকে আরও বাড়াতে হবে। দেশ আজ এক সংকটময় সময় অতিক্রম করছে। আপনাদের ও ছাত্রদের সমন্বিত আন্দোলনের ফলে ফ্যাসিস্ট শাসকেরা বিদায় নিয়েছে। একটা অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। তাদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা, রাষ্ট্র মেরামতের ন্যূনতম সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া। এর জন্য সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে তাদের।' খালেদা জিয়া দলের কর্মীদের প্রতি বার্তা দেন, 'এমন কোনও কাজ করবেন না যাতে সংগ্রাম বিফলে যায়। ছাত্র ও যুবসমাজহ দেশবাসী কাছে আমার আহ্বান, আসুন... ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বাসযোগ্য ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করি।' (আরও পড়ুন: এবার দিল্লিসহ দেশের আরও ৯টি শহরে অনলাইনে ফার্নিচার ডেলিভারি করবে আইকিয়া)
আরও পড়ুন: কাজ ক্রিপ্টো ফরেন্সিক নিয়ে, বাংলার স্টার্টআপের ঝুলিতে এল কয়েক কোটি টাকার বিনিয়োগ
আরও পড়ুন: বৈঠক BSF-এর সাথে, ক'দিন আগেই ভারতের ৫ কিমি এলাকা দাবি করা BGB এখন বলছে...
এদিকে তারেক রহমান বলেন, 'রক্ত ভেজা রাজপথে গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্য ও জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ নষ্টের চেষ্টা চলছে।' তাঁর কথায়, 'অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে ইতিমধ্যে জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।' খালেদা পুত্র বলেন, 'হাজার শহিদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এরপর দেশে গণতন্ত্রকামী মানুষের সামনে বাংলাদেশকে পুনর্গঠনে একটি সম্ভাবনার দরজা খুলে গিয়েছে। তবে সেটা নস্যাৎ করার জন্য এরইমধ্যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। যারা বাংলাদেশকে তাঁবেদার রাষ্ট্র বানিয়ে রাখতে চেয়েছিল তাঁদের ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনও থেমে নেই। সংস্কার কিংবা স্থানীয় নির্বাচন এসব ইস্যু নিয়ে জনগণের সামনে একটি ধুম্রজাল সৃষ্টি করা হচ্ছে।'