বুধবার কলকাতায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে যদি বিজেপি আগুন লাগায় তাহলে 'থেমে থাবে না' বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিও। আর এই 'হুঁশিয়ারি'র পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একের পর এক পালটা তোপ দেগেছেন বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। মুখ খুলেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। (আরও পড়ুন: 'যদি চালাতে না পারেন আমি নিয়ে নেব...', নবান্নের বৈঠকে মমতার 'ধমক' মন্ত্রীকে)
আরও পড়ুন: যেমন কথা, তেমন কাজ, আরজি কর কাণ্ডের আবহে ৩ সেপ্টেম্বরই বড় পদক্ষেপের পথে মমতা
আরও পড়ুন: মমতার 'ধর্ষণ বিরোধী' বিলের বিরোধিতায় শুভেন্দু? 'পরামর্শ' বিধনসভা অভিযানের
কী বলেছিলেন মমতা? গতকাল টিএমসিপির মঞ্চ থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'কেউ-কেউ মনে করছেন, এটা বাংলাদেশ। আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। ওরা আমাদের মতো কথা বলে। ওদের সংস্কৃতি, আমাদের সংস্কৃতি এক। কিন্তু মনে রাখবেন, বাংলাদেশ একটা আলাদা রাষ্ট্র। ভাবতবর্ষ একটা আলাদা রাষ্ট্র। মোদীবাবু, আপনার পার্টিকে দিয়ে আগুন লাগাচ্ছেন? মনে রাখবেন, বাংলায় যদি আগুন লাগান, অসমও থেমে থাকবে না। উত্তর-পূর্বও থেমে থাকবে না। উত্তরপ্রদেশও থেমে থাকবে না। বিহারও থেমে থাকবে না। ঝাড়খণ্ডও থেমে থাকবে না। ওড়িশাও থেমে থাকবে না। আর দিল্লিও থেমে থাকবে না। আপনার চেয়ারটা আমরা টলমল করে দেব।'
আর এই আবহে মমতাকে পালটা জবাব দিয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী। এন বীরেন সিং এই ইস্যুতে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, 'উত্তর-পূর্বকে হুমকি দেওয়ার সাহস কী করে হল দিদি আপনার? এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমি। প্রকাশ্যে উত্তর-পূর্ব এবং বাকি জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে আপনাকে। অবিলম্বে বিভেদমূলক রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। সহিংসতা এবং ঘৃণা উস্কে দেওয়া বন্ধ করতে হবে মমতাজি। একজন রাজনৈতিক নেতার পাবলিক প্ল্যাটফর্মে সহিংসতার হুমকি দেওয়া অত্যন্ত অপ্রীতিকর।' এদিকে মমতার মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, 'তৃণমূল সরকারের নারী বিরোধী আচরণ গণতন্ত্রের লজ্জা।'