রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে এদিন নয়াদিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সোমবার তাঁর সঙ্গে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতমন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের বৈঠকের সূচি চূড়ান্ত হয়েছে বলে আগেই দাবি করেছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু সূত্রের খবর, সোমবার ওই বৈঠক হয়নি।
Ad
বৈঠকে জেপি নড্ডা।
লক্ষ্য ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। আর বাংলা থেকে আসন পেতে হবে ২৪টি। এই টার্গেটই বেঁধে দেওয়া হল বঙ্গ–বিজেপি নেতাদের। অর্থাৎ চব্বিশে ২৪। প্রাথমিকভাবে এমনই আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা রাখছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যদিও এই লক্ষ্য পূরণে বিজেপির প্রধান চ্যালেঞ্জ রাজ্যে দলের দুর্বল সংগঠন, চরম গোষ্ঠীকোন্দল এবং নেতা–কর্মীদের সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় মনোভাব। এদিনের বৈঠকে বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা সাংসদদের বলেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনের সময় যে ভুল হয়েছিল, তার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়। সকলকে নিয়ে একসঙ্গে চলতে হবে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দ্রুত মেটান। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথস্তরে কর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব দিন।’ এমনই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি বলে সূত্রের খবর।
আর কী উঠে আসে বৈঠকে? এই বৈঠকে সিএএ ইস্যু নিয়ে সরব হন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তখন সবার সামনে সুকান্ত মজুমদার বলেন, এটি বিজেপির কোর ইস্যু। উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দিতে দল্ অঙ্গীকার করেছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি নড্ডা। তবে যে রিপোর্ট তার হাতে এসেছে সেটা নিয়ে তিনি উষ্মাপ্রকাশ করেছেন। রাজ্য বিজেপির অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দল থেকে শুরু করে ভেঙে পড়া সংগঠন—সব নিয়েই নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি বলে সূত্রের খবর।