২০২১ সালের নভেম্বরের শেষে এই শেয়ারের দাম ছিল মাত্র ১ টাকার স্তরে। আর সেই সময় থেকে এইটুকুর মধ্যেই শেয়ারের দাম ৫২.২৫ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। ফলে অভাবনীয়ভাবে, ৫১০০% রিটার্ন দিয়েছে কাইজার কর্পোরেশনের শেয়ার।
স্টক মার্কেটে গত বছরে ডাউনট্রেন্ড চলেছে। এমন পরিস্থিতিতেও কিছু ছোট স্টক দুর্দান্ত রিটার্ন দিয়েছে। (ফাইল ছবি: রয়টার্স)
পেনি স্টক। শুনলেই প্রথম যে বিষয়টি মাথায় আসে, তা হল 'ঝুঁকি'। পেনি স্টকে বিনিয়োগ করা যে বেশ ঝুঁকির বিষয়, তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু জীবনে যেখানে ঝুঁকি বেশি, সেখানে মুনাফাও বেশি। অর্থাত্, পেনি স্টকে লোকসানের সম্ভাবনাও যতটা বেশি, লাভ করার সুযোগও তেমন বেশি। তবে পেনি স্টকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক বেশি পড়াশোনা, অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। তারপরেও এই জাতীয় বিনিয়োগের সময়ে সাবধানী হওয়া উচিত্।
২০২১ সালের নভেম্বরের শেষে এই শেয়ারের দাম ছিল মাত্র ১ টাকার স্তরে। আর সেই সময় থেকে এইটুকুর মধ্যেই শেয়ারের দাম ৫২.২৫ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। ফলে অভাবনীয়ভাবে, ৫১০০% রিটার্ন দিয়েছে কাইজার কর্পোরেশনের শেয়ার।
কাইজার কর্পোরেশনের শেয়ারের দামের ইতিহাস
গত ৬ মাসে এই মাল্টিব্যাগার শেয়ার সেল অফের প্রবণতার মধ্যে রয়েছে। সেই কারণে ৩.৫০% শেয়ার দর হ্রাস পেয়েছে গত ১ সপ্তাহে। গত ১ মাসে প্রায় ৯% কমেছে এই স্টক। গত ৬ মাসে তুমুল সেল অফের কারণে এই শেয়ারের দাম ৯৮ টাকা থেকে কমে ৫২.২৫ টাকায় নেমে এসেছে। ফলে ৬ মাসে প্রায় ৪৫% কমেছে এই শেয়ারের দাম।
ফাইল ছবি: গুগল ফাইন্যান্স
তবে ২০২২ সালের শুরুতে কিন্তু দ্রুত হারেই বেড়েছে এই শেয়ার। মাঝের এই সেল অফের হিড়িক বাদ দিলেও ১ টাকা থেকে ৫২ টাকা পর্যন্ত এই যে শেয়ার দরের বৃদ্ধি মোটেও কম নয়। তাই সেই সময় থেকে যদি কেউ বিনিয়োগ করে রাখেন, এবং এখনও তা বিক্রি না করে থাকেন, সেক্ষেত্রেও তিনি লাভবান হবেন।