সাম্প্রতিক সময়ে ভিনরাজ্যে বাংলাদেশি অভিযোগে পশ্চিমঙ্গবাসীদের ধরা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরই মাঝে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এল। অবৈধ অভিবাসন এবং পরিচয় জালিয়াতির একটি সংগঠিত চক্রের খোঁজ মিলতে পারে এই ঘটনার তদন্ত করলে। সম্প্রতি ভোপাল থেকে আবদুল কালাম নামে একজন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে পুলিশ। এই ব্যক্তি গত আট-দশ বছর ধরে নেহা নামে একজন ট্রান্সজেন্ডারের মিথ্যা পরিচয়ে সেখানে বসবাস করছিল। (আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের গেস্টহাউজ থেকে উদ্ধার ১০ কোটির জাল নোট, ধৃত ২)
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে সাধারণ বাংলাদেশিদের ওপর অত্যাচার বাহিনীর, সেনা প্রধান ওয়াকার বললেন...
জানা গিয়েছে, ১০ বছর বয়সেই অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল আবদুল। এরপর প্রায় ২০ বছর সে মুম্বইতে ছিল। এরপর সে ভোপালে চলে আসে এবং বিগত প্রায় একদশক ধরে 'নেহা' পরিচয় নিয়ে একজন ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে বসবাস করছিল ভোপালে। স্থানীয় তৃতীয় লিঙ্গের সমাজের মধ্যে বেশ সক্রিয় ছিল আবদুল। এদিকে নিজের ভুয়ো পরিচয়ে ভারতীয় নথিও করায় আবদুল। স্থানীয় এজেন্টের সাহায্যে আধার, রেশন কার্ড থেকে পাসপোর্ট পর্যন্ত করিয়ে ফেলে সে। এমনকী সেই ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশ থেকে ঘুরে পর্যন্ত এসেছে আবদুল। (আরও পড়ুন: সংঘর্ষবিরতি নিয়ে ট্রাম্পের দাবি নস্যাৎ করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী)
আরও পড়ুন: ভারত সত্যি হামলা চালিয়েছিল কিরানা হিলসে? রহস্য উন্মোচন স্যাটেলাইট চিত্রে
এদিকে বায়োলজিকালি আবদুল ট্রান্সজেন্ডার কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে ভোপালের পাশাপাশি মহারাষ্ট্রেও তৃতীয় লিঙ্গের সমাজের সঙ্গে যুক্ত আবদুল। এই আবহে পুলিশের সন্দেহ হচ্ছে, এটা কোনও বড় নেটওয়ার্ক কি না। এদিকে তৃতীয় লিঙ্গের সমাজের বাকিরা আবদুলের বিষয়ে সত্যিটা জানতেন কি না, সেই বিষয়েও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে আবদুলকে 'নেহা' পরিচয়ে নথি জোগাড় করতে যে দুই যুবক সাহায্য করেছিল, তাদেরকে পুলিশ জেরা করছে। পুলিশ আশঙ্কা করছে, এটা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। আবদুলের ফোনের চ্যাট এবং কল রেকর্ড খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।