অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, বাংলাদেশের হিন্দুরা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশ ম্যাচিওরভাবে পরিচালনা করছে এবং তারা ভারতে আসতে চাইছে না, সেকারণে ভারতীয়দের তাদের চলে আসতে উৎসাহিত করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, ‘এটা সত্যি যে বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা অতীতে এখানে চলে এসেছিল, কিন্তু এখন তারা আসছে না। তারা পরিপক্কতার সাথে বর্তমান পরিস্থিতি পরিচালনা করছে এবং তাদের দেশ ছেড়ে আসতে উত্সাহিত করা আমাদের উচিত নয়,’ অসমের মুখ্য়মন্ত্রী বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য ওভারটাইম কাজ করছেন।
গত বছরের অগস্টে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসার পর বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে হামলার খবর পাওয়া গেছে। নয়াদিল্লি এসব ঘটনাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং ঢাকাকে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে।
অসমে, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলার বিরুদ্ধে গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক বিক্ষোভ চলছে, যার নেতৃত্বে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) এবং বজরং দলের মতো বেশ কয়েকটি সংগঠন অসমে বাংলাদেশের হিন্দুদের আশ্রয়ের দাবিতে নেতৃত্ব দিয়েছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রচারক সুমন কুমার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের ভারতে আশ্রয় নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানান।
বুধবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ মাসে অসমে প্রায় এক হাজার বাংলাদেশি এবং প্রতিবেশী ত্রিপুরায় সমসংখ্যক বাংলাদেশি মানুষকে ধরা হয়েছে, তবে তাদের কেউই বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু নয়।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, বরং বাংলাদেশের টেক্সটাইল সেক্টরে কর্মরতরাই মূলত দেশের টেক্সটাইল শিল্পে চাকরির জন্য ভারতে আসছেন।
বাংলাদেশে অস্থিরতার পর সেখানে বস্ত্রশিল্প কার্যত ধসে পড়ে। তাই ওইসব শিল্পে কর্মরত শ্রমিকরা ভারতে আসতে শুরু করেন। আমাদের দেশের অনেক বস্ত্র শিল্পের মালিক তাদের উৎসাহ দিতে শুরু করেন এবং বাংলাদেশ থেকে সস্তায় শ্রমিক আমদানির জন্য অর্থ ব্যয় করেন।
'এটি একটি উদ্বেগজনক বিষয় কারণ আমরা অতীতে কখনও এত অনুপ্রবেশকারীকে শনাক্ত করিনি। বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, যারা এখানে সংখ্যালঘু। আমরা তাদের গ্রেফতার করছি না, আমরা তাদের দিয়ে আমাদের জেলখানা পূরণ করতে চাই না, তাই তাদের পাঠিয়ে দিচ্ছি।