বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেই ইতিহাস মুছে দেওয়ার প্রবণতা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছে। আর তার জেরে এখন ওপার বাংলায় অবহেলিত শেখ মুজিবুর রহমান। যাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হয়েছিল। সেই বঙ্গবন্ধুর মূর্তি থেকে বাসভবন ভাঙা তো চলছিলই। এবার মানবতাবাদী লালন সাঁই, বিজ্ঞানী আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, কবি জীবনানন্দ দাশরাও ব্রাত্য হয়ে গেলেন পদ্মার মাটিতে। বাংলাদেশে এখন মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। আর এই সরকারের জমানাতেই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি স্পষ্ট করলেন। ব্রাত্যের এই তালিকা অবশ্য দীর্ঘ। সেখানে আছে অনেকেরই নাম। যাঁরা বাংলাদেশে নানা অবদান রেখেছেন।
দু’দিন আগে একটি নোটিশ জারি করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস এম মাহবুবুর রহমান। ওই নোটিশে ১৬টি ভবনের নাম পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামবদল করা হয়নি। এই তিনটি ভবন—মাইকেল মধুসূদন দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজি নজরুল ইসলামের নামাঙ্কিত। তবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষা ভবন’ থেকে কবিগুরুর নাম সরিয়ে দেয়নি। রেখে দেওয়া হয়েছে ‘কাজি নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার’ এবং ‘মাইকেল মধুসূদন দত্ত অতিথি ভবন’–এর নাম ফলক। কিন্তু ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান হল’ ছাত্রাবাসের নাম ‘বীরশ্রেষ্ঠ মহম্মদ রুহুল আমিন হল’ করা হয়েছে। ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল’ হয়েছে ‘বিজয় ২৪ হল’, ‘জয় বাংলা ভবন’ এবার থেকে ‘অ্যাকাডেমিক ভবন ০৪’ নামে ডাকা হবে।
আরও পড়ুন: আর যেন বাড়ি হেলে না পড়ে, এবার নবান্ন বিল্ডিং কমিটি গঠন করল আইআইটির বিশেষজ্ঞ নিয়ে