বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন জামাতে ইসলামির আমির শফিকুর রহমান। আজ খুলনা জেলায় এক জনসভায় তিনি বললেন, 'বাংলাদেশকে ভারতের হাতে ইজারা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না, তিনি ছিলেন ভারতের সেবাদাসী। ভারত শেখ হাসিনাকে বৈধভাবে না অবৈধভাবে আশ্রয় দিয়েছেন সেটি বিশ্ব দেখবে।' (আরও পড়ুন: ফ্লাইটে লাগেজ সংক্রান্ত নয়া নীতির প্রস্তাব, যাত্রীদের জন্যে কী বদলে যাচ্ছে?)
আরও পড়ুন: সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে হতবাক বাংলাদেশ! কী হচ্ছে, তা জানেই না ইউনুসের সরকার?
বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশে তীব্র ভারত বিরোধিতার একটি পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগকে 'ভারতের বন্ধু' হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। এবং এরই সঙ্গে ভারতের পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া থেকে শুরু করে ভারতের রাজ্য দখলের ডাক দিয়েছেন বহু রাজনীতিবিদ। এই আবহে গতকালও ভারত বিদ্বেষ শোনা গিয়েছিল শফিকুরের গলায়। যশোরে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা রাখার সময় জামাতের আমির বলেছিলেন, 'বাংলাদেশের বন্ধু সেজে গত ৫৩ বছর ধরে দেশে ডাকাতি করেছে ভারত'। অবশ্য যে ৫৩ বছরের কথা বলা হচ্ছে, তার মধ্যে একটা বড় সময় বিএনপির সঙ্গে মিলে সরকারে ছিল জামাতও। (আরও পড়ুন: 'সীমান্ত হত্যা' নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে তোপ, পাচারকারীদের পথ কি সাফ করতে চায় BNP?)
আরও পড়ুন: 'আরজি করে নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে ভোঁতা বস্তু...', MIMB-র রিপোর্ট CBI-এর কাছে
ভারতকে আক্রমণ শানিয়ে শফিকুর রহমান গতকাল বলেছিলেন, 'ভারত এল বন্ধুর বেশে, শুরু করে দিল ডাকাতি। এ কেমন বন্ধুত্ব। ১৬ ডিসেম্বর রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণে সব অস্ত্রই তারা নিয়ে গিয়েছে। ৫৩ বছর ধরে আমাদের প্রাণের বন্ধু সেই গুলির একটি খোসাও ফেরত দেয়নি। এ কী ধরনের বন্ধুত্ব।' তবে উল্লেখ্য, পাকিস্তান সেনার তরফ থেকে আত্মসমর্পণ করা হয়েছিল ভারতের কাছেই। ১৯৭১ সালে ৯০ হাজারের বেশি পাক সেনা এবং তাদের অস্ত্র তাই ভারতীয় হেফাজতেই আসে। এছাড়াও ঐতিহাসিক ভাবে মুক্তিযুদ্ধের সময় জামাতে ইসলামি স্বাধীনতাকামী বাঙালি এবং ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধেই কাজ করেছিল। এমনকী জামাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজাকার হয়ে পাক সেনাকে বুদ্ধিজীবী বাঙালিদের খোঁজ দিয়ে তাদের হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল তারা। এহেন জামাতের গলায় এখন মুক্তিযুদ্ধ ইস্যুতে 'ভারত বিরোধিতার' সুর! (আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল, বান্দরবানে ত্রিপুরা পাড়ায় আগুন)