নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংসদে পাশ হওয়ার পরের দিন ভারত সফর বাতিল করলেন বাংলাদেশ বিদেশমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার ভারতে আসার কথা ছিল বাংলাদেশ বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মমেনের। কিন্তু তাঁর তিন দিনের সফর বাতিল করেছেন তিনি, বলে কূটনৈতিক সূত্রের খবর। তবে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশ কুমার জানিয়েছেন যে এই যাত্রা বাতিলের সঙ্গে সিএবি পাশের কোনও সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশের বিজয় দিবস পালনের কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি ভারতে আসতে পারেবেন না বলে রবিশ কুমার জানিয়েছেন। এই বিল অনুযায়ী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে নির্যাতিত সংখ্যালঘুরা ভারতে এলে তাদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত। সংসদে এই বিল নিয়ে আলোচনার সময় কীভাবে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে, সেই কথা বর্ণনা করেন অমিত শাহ সহ অন্যান্য বক্তারা।সেটাকেই ভালো চোখে দেখছে না বাংলাদেশ। মমেন সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছিলেন ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, কিন্তু এই বিল পাশের পর সেখান থেকে বিচ্যূত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। অমিত শাহকে আক্রমণ করে মমেন বলেন যে বাংলাদেশের মতো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি খুব কম দেশেই আছে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কিছুদিন বাংলাদেশে এসে থাকার আমন্ত্রণও জানান তিনি।এদিন অবশ্য কিছুটা ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করা হয়েছে ভারতের তরফ থেকে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন যে বর্তমান হাসিনা সরকারের আমলে সংখ্যালঘুদের ওপর কোনও নির্যাতন হচ্ছে না। তবে এর আগে, প্রতিবেশী দেশকে একহাত নিয়ে মমেন জানান, " ভারতে অনেক সমস্যা আছে। ওরা নিজেদর মধ্যে লড়াই করুক, আমরা তার পরোয়া করিনা। কিন্তু বন্ধু রাষ্ট্র হিসাবে আমরা চাই যে ভারত এমন কিছু না করে যাতে দুই দেশের মধ্যে মৈত্রীর সম্পর্ক খারাপ না হয়"।