এক অদ্ভূত ঘটনা ঘটেছে মায়ানমারে। টেকনাফের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের কাছে আটক করা বাংলাদেশের ৫৬ মৎস্যজীবীকে। আন্তর্জাতিক সীমানা লঙ্ঘন করার অভিযোগে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু এবার তাঁদের ছেড়ে দিয়েছে মায়ানমার নৌবাহিনী। কিন্তু ওই ট্রলারে থাকা মাছগুলি মায়ানমার নৌবাহিনী রেখে দিয়েছে। এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ৫৬ বাংলাদেশি জেলেকে ১৫ ঘণ্টা আটকে রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা নাগাদ কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে মৎস্যজীবীরা ফেরত আসেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের মৎস্যজীবীদের ছেড়ে দেওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসানউদ্দিন। তার আগে বুধবার দুপুরে সেন্ট মার্টিনের দক্ষিণে ১৫ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগর থেকে ট্রলারগুলি নিয়ে যাওয়া হয়। সেন্ট মার্টিনের দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগরে মোট ৬টি ট্রলারে ৫৬ মৎস্যজীবী বাংলাদেশ জলসীমায় মাছ ধরছিলেন। আর তা করার সময়ই ভুলবশত মৎস্যজীবীরা বঙ্গোপসাগরে মায়ানমারের জল সীমানায় চলে যান। তখন মায়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা তাদের আটক করেন। আর ১৫ ঘণ্টা ভয় দেখিয়ে রেখে সমস্ত মাছ নিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। তারপর ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: এত অনীহা? ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট, এবার হাজিরা দিতে নির্দেশ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে
বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের আটক করার পর থেকে তাদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এই মৎস্যজীবীদের না পাওয়ার খবর জানান সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল মান্নান। ট্রলার মালিকদের বরাতে ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘বুধবার দুপুরে টেকনাফের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অদূরে দক্ষিণ–পশ্চিম সাগরে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের কিছু ট্রলার মাছ ধরছিল। তার মধ্যে ৬টি ট্রলার মাছ ধরার সময় সাগরে মায়ানমারের জলসীমায় ঢুকে পড়লে মায়ানমার নৌবাহিনী এসব ট্রলারের মৎস্যজীবীদের ধরে নিয়ে যায়।’