বালোচিস্তানে ফের রক্ত ঝরল। নসকি জেলায় ৪ পুলিশকর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, এই নসকি জেলাতেই কয়েকদিন আগে পাক সেনার বাসে বালোচ লিবারেশন আর্মি হামলা চালিয়ে ৯০ জনকে হত্যা করার দাবি করেছিল। এদিকে কালাত জেলায় পাক পঞ্জাবের ৪ শ্রমিককে খুন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: অশান্ত বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত, পরপর গুলি আরাকান আর্মির, গুলিবিদ্ধ ২)
আরও পড়ুন: ঢাকায় ঘুরল খেলা! সেনা প্রধানের সাথে বৈঠক নিয়ে উলটো দাবি হাসনাতের বেস্ট ফ্রেন্ডের
জানা গিয়েছে, নসকি জেলায় বাইকে করে বন্দুকবাজরা এসে টহলরত পুলিশকর্মীদের ওপর হামলা করেছিল। সেই হামলায় ঘটনাস্থলেই চার পুলিশ সদস্য নিহত হন। এদিকে কালাত জেলায় পাঁচ শ্রমিকের ওপর হামলা চালানো হয়। তাতে চারজনের প্রাণ গিয়েছে। একজন শ্রমিক বেঁচে যান বলে জানা গিয়েছে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, নিরাপরাধ শ্রমিকদের নিশানা করা খুবই নৃশংস ও নিন্দনীয় কাজ। এদিকে বালোচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতিও এই হামলার নিন্দা করে বলেছেন, 'শহিদদের রক্তের কড়া জবাব দেওয়া হবে। তা রাষ্ট্রবিরোধীদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।' (আরও পড়ুন: মাওবাদীদের পেতে রাখা IED বিস্ফোরণে প্রাণ গেল বাংলার এক জওয়ানের, জখম আরও এক)
আরও পড়ুন: হিমাচলের সরকারি বাসে 'হামলা' অমৃতসরে, লেখা হল খলিস্তানি স্লোগান
উল্লেখ্য, বালোচিস্তানের বিদ্রোহীরা পঞ্জাব প্রদেশের শ্রমিকদের ওপর বারংবার হামলা চালিয়ে এসেছে। তাদের দাবি, পঞ্জাব প্রদেশে কাজের অভাব নেই। সেখানে বালোচিস্তানে পঞ্জাবিরা কেন কাজ করতে আসবেন? এই আবহে বালোচ বিদ্রোহীদের অভিযোগ, পঞ্জাবের থেকে শ্রমিকের বেশে পাক সেনার গুপ্তচরবৃত্তি করতে আসে এরা। এই যুক্তিতেই বরাবর পঞ্জাবি শ্রমিকদের নিশনা করে এসেছে বালোচ স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হাসিনা বিরোধী ঢেউয়ের বিষয়ে আগে থেকে অবগত ছিল ভারত, বললেন জয়শংকর)
আরও পড়ুন: আওয়ামি লিগকে ফেরাতে গোপন বৈঠক ক্যান্টনমেন্টে? বিতর্কে মুখ খুলল বাংলাদেশি সেনা
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বালোচ লিবারেশন আর্মি পাকিস্তান সেনার ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে। বোলান অঞ্চলে জাফর এক্সপ্রেস অপহরণ হোক কি পুলওয়ামা স্টাইলে পাক সেনার বাসে বিস্ফোরণ ঘটানো, বিএলএ চোখে চোখ রেখে পাক সেনাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যাচ্ছে। এদিকে গত ২১ মার্চ কোয়েটায় পাক সেনার অত্যাচারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল বালোচ ইয়াকজেহতি কমিটি। সেই প্রতিবাদকে ছত্রভঙ্গ করতে নাকি সাধারণ মানুষের ওপরে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে বালোচ পুলিশ। সেই হামলায় একাধিক বালোচের মৃত্যু হয়। প্রাণ হারায় নাবালকরাও। একাধিক শিশু সহ অন্তত পাঁচজন আন্দোলনকারীকে কোয়েটার রাস্তায় খুন করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এদিকে নোবল শান্তি পুরস্কারের জন্যে মনোনীত মাহরাং বালোচকে পুলিশ গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ।