আসল নাম জিয়াউদ্দিন সিদ্দিকি যদিও বিশেষ পরিচিতি পায়নি বাবা সিদ্দিকির রাজনৈতক সফরে। দক্ষিণ মুম্বইয়ের ফোর্টে এক দোকানে ঘড়ি সারাই করতেন জিয়াউদ্দিনের বাবা। সেখান থেকে রাজনৈতিক উত্থান হয়েছে বাবা সিদ্দিকির।
বাবা সিদ্দিকির সঙ্গে সলমান খান ও শাহরুখ খান। (PTI Photo)
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকির হত্যাকাণ্ডে গোটা মহারাষ্ট্রে চাঞ্চল্য। শেষবারের জন্য কী বলেছিলেন বাবা সিদ্দিকি? রুদ্ধশ্বাস সেই শেষ মুহূর্তে কী কী ঘটতে দেখা গিয়েছিল? তা নিয়েই উঠে এল একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বহু এনসিপি কর্মীই সেই ভয়াবহতার সাক্ষী ছিলেন। তাঁরা তুলে ধরেছেন, সেদিন ঠি কী কী ঘটেছিল, তার বর্ণনা।
ঘটনার কথা স্মরণ করে অনেকেই বলছেন, গুলিবিদ্ধ হতেই শেষবারের জন্য বাবা সিদ্দিকি বলেছিলেন,'বুলেট লেগেছে, আমি আর বাঁচব না, মরে যাব।' ঘটনার পরই তাঁকে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যেখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বহু রিপোর্টের দাবি, এর আগে বাবা সিদ্দিকিকে ১০ বার খুনের চেষ্টা করা হয়। একজন পার্টি কর্মী বলেন, ১২ অক্টোবর নমাজ পাঠ করে সিদ্দিকির ছেলে জিশান জানান, তিনি চেতনা কলেজে যাচ্ছেন খাবার জন্য। সিদ্দিকি জানান, তিনি আর ২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে কাজ শেষ করে বের হচ্ছেন। তারা নউপাড়ায় একটি নয়া প্রজেক্টের বিষয়ে দেখা করে কথা বলার পরিকল্পনায় ছিলেন। ফলে পিতা-পুত্রের দেখা হওয়ার পরিকল্পনা ছিল সেই সময়। এরপর অফিস থেকে বের হন বাবা সিদ্দিকি। সঙ্গে ছিলেন এক পুলিশ কর্মী, গাড়ির চালক, পার্টি কর্মীরা। তখনই শুটাররা গুলি চালায়। চালিয়েই তারা পালায়। সেখানে উপস্থিত থাকা পুলিশ অফিসার বলছেন, দুটি বুলেট বাবা সিদ্দিকির বুকে লাগে। একজন দূরে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির পায়ে লাগে বুলেট।
উল্লেখ্য, জিয়াউদ্দিন সিদ্দিকিই বাবা সিদ্দিকি নামে পরিচিত ছিলেন। তাঁর আসল নাম জিয়াউদ্দিন সিদ্দিকি যদিও বিশেষ পরিচিতি পায়নি বাবা সিদ্দিকির রাজনৈতক সফরে। দক্ষিণ মুম্বইয়ের ফোর্টে এক দোকানে ঘড়ি সারাই করতেন জিয়াউদ্দিনের বাবা। সেখান থেকে রাজনৈতিক উত্থান হয়েছে বাবা সিদ্দিকির। খুব কম বয়স থেকেই রাজনীতিতে হাত পাকিয়ে ফেলেছিলেন বাবা সিদ্দিকি। ১৯৭৭ সালে তিনি কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনে যোগ দেন। সেখান থেকে ১৯৮৮ সালে কংগ্রেসের মুম্বইয়ের যুব সংগঠনের প্রেসিডেন্ট হন বাবা সিদ্দিকি। পরবর্তীতে তিনি পাওয়ার শিবিরের এনসিপিতে আসেন। হয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীও।
বহু ফিল্মতারকার পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল বাবা সিদ্দিকির। সলমান খানের পরিবার ছাড়াও, সুনীল দত্তের পরিবারের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল। সুনীল দত্তের খুবই কাছের মানুষ ছিলেন বাবা সিদ্দিকি। কংগ্রেসের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা ফিল্ম তারকা সুনীল দত্তের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বহুদিনের। সুনীল-কন্যা প্রিয়া ও পুত্র সঞ্জয় দত্তের সঙ্গেও বাবা সিদ্দিকিকে দেখা গিয়েছে বহু জায়গায়।