সুপ্রিম কোর্টে সাময়িক স্বস্তি পেলেন অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলি খান মাহমুদাবাদ। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্ট করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। বুধবার তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছে শীর্ষ আদালত। দীর্ঘ টানাপোড়েনের গত সপ্তাহে তাঁর শর্তসাপেক্ষে অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আলি খান মাহমুদাবাদকে স্পষ্ট করে জানিয়েছে, বাক-স্বাধীনতার অধিকার থাকলেও তিনি এখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট করতে পারবেন না। বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের শর্তে কোনও পরিবর্তন করেনি। পাশাপাশি পরবর্তী শুনানিতে এই মামলার তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য সিটকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অধ্যাপকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নোটিশের প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে হরিয়ানা পুলিশকে অবহিত করতে বলেছে বেঞ্চ। উল্লেখ্য, এর আগে শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন তুলেছিল, 'প্রত্যেকের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে, কিন্তু অধ্যাপকের হঠাৎ এমন 'সস্তার পাবলিসিটি' দরকার হল কেন?'
আরও পড়ুন-'গর্বের মুহূর্ত!' ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি নিয়ে হুঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মোদীর
অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদাবাদকে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল। মাহমুদাবাদকে ১৮ মে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং গত মঙ্গলবার হরিয়ানার একটি আদালত তাঁকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠায়। মূলত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভঙ্গের চেষ্টা, বৈরিতা তৈরির চেষ্টা, বিচ্ছিন্নতাবাদে উস্কানি, সশস্ত্র বিদ্রোহ, নাশকতামূলক কার্যকলাপ, ধর্মীয় বিশ্বাসের অবমাননার অভিযোগ দায়ের হয় অধ্যাপকের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন-'অন্ধ্রপ্রদেশে হ্যাল-এর স্থানান্তর নয়!' টানাপোড়েনের মাঝে সাফ জানাল কর্ণাটক
সম্প্রতি ফেসবুকে অধ্যাপক মাহমুদাবাদ অপারেশন সিঁদুর নিয়ে উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং এবং কর্নেল সোফিয়া কুরেশির প্রেস কনফারেন্সকে 'হিপোক্রেসি' বলে উল্লেখ করেছিলেন। এমনকী এই পোস্টে তিনি লেখেন, 'আমি খুব খুশি যে অনেক দক্ষিণপন্থী ভাষ্যকার কর্নেল সোফিয়া কুরেশির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কিন্তু তারা সম্ভবত একইভাবে জোর গলায় তারা এটা দাবি করতে পারছেন না যে সমস্ত ভারতীয় নাগরিক বিজেপির ঘৃণা বিদ্বেষ ছড়ানোর কারণে, অনৈতিক বুলডোজার চালিয়ে ঘর নষ্ট করে দেওয়ার কারণে, গণপিটুনির শিকার হয়ে নিগৃহীত হয়েছেন তারা কী আগামীতে সুরক্ষিত থাকবে দেশে?'
এরপরেই ওই অধ্যাপককে হরিয়ানা রাজ্য মহিলা কমিশনের তরফে একটি নোটিশ পাঠানো হয়। সমনের জবাবে অধ্যাপক মাহমুদাবাদ বলেন, অপারেশন সিঁদুর এবং এর সঙ্গে জড়িত মহিলা অফিসারদের উপর তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট মোটেও নারীবিদ্বেষী ছিল না, অযথা তাঁকে সেন্সর করা হচ্ছে।