লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর। তিনি খোঁচার সুরে বলেন, রাহুল, বিরোধী দলনেতা হওয়ার আগে পর্যন্ত দায়িত্ব ছাড়াই ক্ষমতা উপভোগ করছিলেন। লোকসভায় রাহুল গান্ধী বিরোধী দলনেতা হতেই তাঁকে এদিন শুভেচ্ছা জানান অনুরাগ ঠাকুর। যেখানে বিরোধীরা বারবার সংবিধান রক্ষা করার বার্তা নিয়ে শাসকপক্ষকে তোপ দেগেছে, সেখানে বিজেপির অনুরাগ ঠাকুর কংগ্রেসকে খোঁচার সুরে বলেন, যাঁরা সংবিধানের বিরোধী তাঁদের এই লোকসভা ভোট তৃতীয়বারের জন্য বিরোধীর আসনে রেখেছে।
রাহুলকে খোঁচা দিয়ে অনুরাগ বলেন, বর্তমানে লোকসভায় বিরোধী দলনেতার আসনে রাহুলের বসাটা তাঁর কাছে অগ্নিপরীক্ষার সমান। অনুরাগের প্রশ্ন, ‘উনি (রাহুল গান্ধী) কি লোকসভায় সারা দিন বসবেন? … এখন দেখুন নেই উনি।' উল্লেখ্য, অনুরাগ ঠাকুরের বক্তব্যের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না রাহুল গান্ধী। এদিকে, অনুরাগের মন্তব্য নিয়ে তখন সংসদে হইহট্টোগোল হতে থাকে। এদিকে, অনুরাগ ঠাকুর বলেছিলেন যে ভারত এক সময় ভঙ্গুর অর্থনীতি ছিল, কিন্তু গত ১০ বছরে, দেশটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম এবং বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। কংগ্রেসের শাসনামলে অর্থনৈতিক ব্যর্থতা, ক্রোনি পুঁজিবাদ এবং কেলেঙ্কারী ছিল, যেখানে গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও অভিযোগ নেই, ঠাকুর বলেছেন।
রাহুল গান্ধীকে নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘কংগ্রেস শাসনামলে অর্থনৈতিক ব্যর্থতা, ক্রনি পুঁজিবাদ এবং কেলেঙ্কারি ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও অভিযোগ নেই।’ অনুরাগ ঠাকুর বলেন, রাহুল গান্ধী নিজেকে সংবিধানের রক্ষক বলেছেন এবং বলেছিলেন যে তিনি সংসদকে আশ্বস্ত করতে চান যে কংগ্রেস আবার জরুরি অবস্থা জারি করার ভুলের পুনরাবৃত্তি করবে না। লোকসভা ভোটের ফলাফল নিয়ে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘তারা যন্ত্রণা অনুভব করছেন। তিনবার চেষ্টা করেও তারা ১০০-এ পৌঁছাতে পারেনি এবং ৯৯-এ আটকে যায়।’ তিনি স্যাম পিত্রোদাকে নিয়েও অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘…স্যাম পিত্রোদা, যিনি কারও কাকা, বন্ধু, দার্শনিক এবং পথপ্রদর্শক...তাঁর বক্তব্য এবং কংগ্রেসের চিন্তাভাবনা একই। আমি রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসা করতে চাই স্যাম পিত্রোদাকে দলে ফিরিয়ে আনার কী প্রয়োজন ছিল?’