সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল তাঁর কিছু ছবি ও ভিডিয়ো। সেই ছবি ও ভিডিয়োয় তাঁকে নাকি মাদক সেবক করতে দেখা যায় (হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা কোনও ছবি বা ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি)! আর সেই কারণেই নিজের পদ খোয়াতে হল বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী ফাতেমা খানম লিজাকে।বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল (শনিবার - ১৭ মে, ২০২৫) সন্ধে সাড়ে ছ'টা নাগাদ (স্থানীয় সময়) এই বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম শাখার তরফে। যার শিরোনামে লেখা ছিল 'বহিষ্কারাদেশ'।সেই বিবৃতিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী তথা সংগঠনের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার মুখপাত্র ফাতেমা খানম লিজাকে সমস্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের অভিযোগ ওঠাতেই যে এমন পদক্ষেপ, সেটাও ওই বহিষ্কারাদেশ-এ স্পষ্ট করে দেওয়া হয়।সংগঠনের তরফে জারি করা এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নগর কমিটির আহ্বায়ক আরিফ মঈনুদ্দিন ও সদস্যসচিব নিজামউদ্দিন।তাতে উল্লেখ করা হয়, 'সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির মুখপাত্র ফাতেমা খানম লিজার মাদক সেবন এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ছবি-ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রায় ১৪০০ শহীদ ও অর্ধলক্ষ আহতদের ওপর দাঁড়ানো এই প্ল্যাটফর্মের কোনো সদস্যের এমন অনিয়ন্ত্রিত ও অসামাজিক কার্যকলাপ জনমনে প্রশ্ন তৈরি করেছে। তাই ফাতেমা খানম লিজাকে মহানগর কমিটির মুখপাত্র পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।'উল্লেখ্য, যে ভিডিয়ো ও ছবিগুলির জেরে এমন পদক্ষেপ করা হল, সেগুলি সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই নানা মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছিল। এতে সংগঠন তথা আন্দোলনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছিল।ে