বাংলাদেশের ইতিহাসের পরতে পরতে রয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তপাতের নানান অধ্যায়। এদিকে, সদ্য শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনুস সরকার এসেছে ক্ষমতায়। মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এক মুক্তিযোদ্ধার ওপর ভয়াবহ অত্যাচারের ছবি সামনে এসেছে সদ্য। ঘটনা বাংলাদেশের চৌদ্দগ্রামের। সেখানে ৭৮ বছর বয়সী এক বর্ষীয়ান মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতোর মালা পরিয়ে, তাঁকে এলাকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
ঘটনাস্থল বাংলাদেশের চৌদ্দগ্রামের বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের এলাকা। সেখানে স্কুলের সামনের চত্বরে ওই মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতোর মালা পরানো হয়। ৭৮ বছরের আবদুল হাই ওরফে কানু নামের ওই মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় তাঁর পরিবার রীতিতমতো আতঙ্কে। যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে, তার পাশের গ্রাম লুদিয়ারার বাসিন্দা ওই বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধা। তিনি, কৃষক লিগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সংগঠনের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার প্রাক্তন সহ সভাপতি ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। আবদুল হাইয়ের পরিবারের অভিযোগ, ৭৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে এভাবে অপমান ও লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে জামায়েত শিবিরের নেতা কর্মীদের হাতে। আবদুলকে এলাকা ছাড়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
( Khalistani Terrorist: উত্তর প্রদেশে এনকাউন্টারে নিহত ৩ খলিস্তানি জঙ্গি! পঞ্জাব থেকে খবর পেতেই পিলিভিটে পুলিশি অভিযান)
এদিকে, ঘটনার পরই সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় আসতে থাকে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা)। জামায়েত ইসলামির তরফে আমির মহফুজুর রহমান ঘটনার দিন রাত ১১.৩০ নাগাদ ‘প্রথম আলো’কে বলেন, ‘একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাক এভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনা মেনে নেওয়ার মতো নয়। আমরা ঘটনার খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি। জামায়েত ও শিবিরের কোনও নেতা কর্মী এই ঘটনায় জড়িত থাকলে আমরা তাঁর বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।’ জানা যাচ্ছে, রাজনৈতিক নানান কারণে গত ৮ বছর এলাকা ছাড়া ছিলেন আবদুল হাই। সেদেশের প্রাক্তন রেলমন্ত্রী ও সাংসদ সদস্য মুজিবুল হকের পক্ষে রাজনীতি না করার কারণেই তিনি এলাকা ছাড়া ছিলেন বলে দাবি মিডিয়া রিপোর্টের। আবদুল হাই, সদ্য ফিরেছিলেন বাড়ি। আর তিনি দুপুরে বাড়ি ফিরতেই তাঁকে এভাবে হেনস্থা করা হয়েছে বলে খবর।