জুয়ার নেশা সর্বনাশা।আর উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ের রেণু নামে এক তরুণী বধূর নেশা লুডো খেলা। স্বামী ভিনরাজ্যে কাজ করেন। তিনি স্ত্রীকে নিয়মিত টাকাও পাঠান। আর সেই টাকার বেশিরভাগটাই তিনি লুডোর নেশায় উড়িয়ে দিতেন বলে অভিযোগ। বাড়ির মালিকের সঙ্গে তিনি নিয়মিত লুডো খেলতেন। আর লুডো খেলতে খেলতে পরিস্থিতি এমনই হয় যে শেষ পর্যন্ত আর কিছু না পেয়ে নিজেকেই বাজি রাখেন রেণু। আর তারপরেই কাহিনিতে আসল মোড়।এদিকে নিজেকে বাজি ধরেছিলেন রেণু। কিন্তু সেই বাজিও হেরে যান তিনি। এরপর শর্ত অনুসারে বাড়িওলার সঙ্গেও থাকা শুরু করেন তিনি। স্বামীকে ফোন করে সেকথা জানিয়েও দিয়েছিলেন তিনি। স্বামী তাঁকে ফিরে আসার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু বাড়িওলার কাছ থেকে আর ফিরতে চাননি রেণু। সূত্রের খবর, বাজিতে জিতে তিনি বাড়িওলার বকেয়া ভাড়া মেটানোর পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই বাজিও হেরে যান তিনি। উলটে বাড়িওলার কাছেই থাকতে হচ্ছে তাঁকে।এদিকে ওই তরুণীর দুই সন্তানও রয়েছে। কিন্তু লুডোতে হেরে গিয়ে এভাবে বউকে হারাতে হবে একথা স্বপ্নেও ভাবেননি ওই বধূর স্বামী। তিনি সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তাঁর দুঃখের কথা। স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন ওই ব্যক্তি।কিন্তু স্ত্রী আর ফিরতে রাজি নন।এদিকে গোটা ঘটনায় কার্যত অথৈ জলে পড়েছেন ওই তরুণীর স্বামী। তিনি না থাকার সুযোগেই বাড়িওলার সঙ্গে লুডো খেলায় মেতে উঠতেন স্ত্রী। আবার তাঁর পাঠানো টাকা দিয়েই চলত বাজি ধরা। সেই লুডো খেলতে গিয়ে বউ এখন বাড়িওলার সঙ্গে থাকছেন। আর ফেরার মন নেই বধূর।