অশান্তির জেরে মায়ের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন স্ত্রী। কিন্তু, ফিরে না আসায় চরম পদক্ষেপ করলেন স্বামী। আত্মঘাতী হলেন ওই যুবক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মানিয়ার শহরে। মৃতের নাম অলোক রাজাক। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুতে ভুয়ো NCC ক্যাম্পে ছাত্রীদের ধর্ষণে অভিযুক্ত বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হল
জানা গিয়েছে, দাম্পত্য কলহের জেরে বেশ কিছুদিন আগেই স্বামীর ঘর ছেড়ে মায়ের বাড়িতে পালিয়ে যান অলোকের স্ত্রী। এরপর সেখানেই তিনি থাকছিলেন। অলোক বারবার স্ত্রীকে ফিরে আসতে বললেও তিনি ফিরে আসেননি। স্ত্রী বাড়ি না ফেরায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন অলোক। শেষমেষ তিনি আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেন। ঘরেই তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, যুবক মানিয়ার শহরের সারওয়ার কাকরগাট্টির বাসিন্দা। মানিয়ার থানার ইনচার্জ রত্নেশ দুবে জানান, স্ত্রী বাড়িতে না ফেরার কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তখনই ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় অন্য কোনও রহস্য আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কী নিয়ে ঝামেলা সে বিষয়টিও পুলিশ জানার চেষ্টা করছে।
প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগেই এই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল বেঙ্গালুরুতে।ঘন ঘন ঝগড়ার কারণে স্ত্রী মায়ের বাড়ি চলে যাওয়ায় আত্মঘাতী হয়েছিলেন এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছিল বেঙ্গালুরুর বগালাগুন্টে থানা এলাকায়। ওই যুবকের নাম অমিত কুমার। তিনি ছিলেন বিহারের বাসিন্দা। তবে ১০ বছর আগে কাজের সূত্রে বেঙ্গালুরুতে চলে গিয়েছিলেন এবং সেখানে জিম প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করছিলেন। সেই সময় এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় ও পরে তাদের বিয়ে হয়। তবে তাঁর স্ত্রী একটি নার্সিং কোর্সে যোগদানের পরেই তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। স্ত্রী বেশিরভাগ সময়ই বন্ধুদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে ব্যস্ত থাকায় তা পছন্দ হতো না যুবকের। এই নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে মায়ের বাড়ি পালিয়ে যান স্ত্রী। এরপর স্ত্রী বাড়ি না ফেরায় যুবক আত্মঘাতী হন।
অন্যদিকে, গত বছরের নভেম্বরেও উত্তর প্রদেশের বেরেলিতে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। স্ত্রী বাড়ি না ফেরায় আত্মঘাতী হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মঘাতী হয়েছিলেন।