আসলে কুম্ভ মেলা যেমন কেড়ে নিয়েছে একাধিক প্রাণ, তেমনই কুম্ভ মেলা আবার অনেকের সঙ্গে অনেকের দেখাও করিয়ে দিয়েছে। আসলে একেবারে মহামিলন ক্ষেত্র এই কুম্ভ মেলা।
এই যেমন এক রাশভারী দমকল আধিকারিক। কুম্ভে ডিউটিতে ছিলেন তিনি। এমন সময় তাঁর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল কলেজ জীবনের এক পুরনো বান্ধবীর। আর দেখা হওয়া মানেই তো মনে পড়ে যায় অনেক কিছু। সবথেকে বড় কথা হল মনে পড়ে যায় কলেজজীবনের সেই অতীত মনে পড়ে যায় ওই অফিসারের।
ঘর কে কলেশ নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে এক্সে শেয়ার করা হয়েছে একটি ভিডিয়ো। সেখানে দেখা যাচ্ছে ইউনিফর্ম পরা এক দমকল আধিকারিক বলছেন, দেখুন বন্ধুরা সেই ১৯৮৮ সালে আমরা একসঙ্গে পড়তাম ডিগ্রি কলেজে। রেশমি আমার ক্লাসমেট ছিল। মহাকুম্ভ আমার সঙ্গে দেখা হল। রেশমি গুপ্তা লখনউ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষিকা। তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানতে চান ওই আধিকারিক। উত্তরে বান্ধবী রেশমি বলেন, খুব ভালো লাগছে। সঞ্জীব তো আমাদের জন্য অনেক ব্যবস্থা করেছে। যে সময় ও পড়ত সেই সময় খুব চুপচাপ থাকত। খুব সিধেসাধা ছিল। এখন পার্সোনালিটি একেবারে দারুন।
আর তখন বন্ধু সঞ্জীব জানিয়েছেন, কম বয়সেই তো ভালো লাগে। আমার বয়স তো এখন ৫৫ বয়সের বেশি হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, এই মহিলামণ্ডলী যদি পড়ার সময় তারিখ করতেন তাহলে তো দিন আরও ভালো যেত। সেই সময় তো পাত্তাই দিত না। নমস্তে, গুডমর্নিংও বলতে দিত না।
তখন বান্ধবী রেশমি বলেন, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচিওরিটি এসে গিয়েছে।
তখন সঞ্জীব বলেন, ইনি এখন টিচার। তাঁর কথা পুরো মেনে নিচ্ছি। অনেক দিন পরে ভালো লাগছে। হর হর গঙ্গে।
প্রয়াগরাজে দেখা হল বান্ধবীর সঙ্গে। রেশমি এখন স্কুলের শিক্ষিকা। আর সঞ্জীব কুমার সিং ফায়ার অফিসার। এতদিন পরে দুজনের দেখা। সেই কলেজ জীবনে হারিয়ে গেলেন রাশভারী ফায়ার অফিসার। অনেকেরই মন ছুঁয়ে গিয়েছে সেই ভিডিয়ো।