বিহারে পুলিশের উপর ধারাবাহিক হামলার পর এবার ৫ এসএসবি জওয়ানকে পণবন্দি করে নির্মম অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং অতিরিক্ত এসএসবি জওয়ানরা এসে ওই জওয়ানদের উদ্ধার করে। সম্প্রতি বিহার পুলিশের ২ অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টরকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে তিনটি জেলায় পুলিশের ওপর ধারাবাহিক হামলার ঘটনায় সাতজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। যা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েচেয়ে গোটা রাজ্যে। এই আবহে বিহারের কিষানগঞ্জেও একই রকম ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, কিষানগঞ্জে এসএসবি ১৯তম ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা মাদক পাচারকারীদের খোঁজ পান। সোমবার সেই মতো পাচারকারীদের পিছনে ধাওয়া করেন ৫ জওয়ান। জওয়ানরা যখন বেলওয়া গ্রামে গিয়ে পাচারকারীদের ধরে ফেলে, তখন অপরাধীরা তাদের অপহরণ করা হচ্ছে বলে চিৎকার করতে শুরু করে। এরপরেই গ্রামবাসীরা এসে ৫ জওয়ানকে ঘিরে ফেলে এবং তাদের পণবন্দি করে।পুলিশ জানিয়েছে, জওয়ানদের উপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে গ্রামবাসীরা। তাদেরকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, এসএসবি দলের উপর হামলার খবর পেয়ে সদর থানার প্রধান অভিষেক কুমার রঞ্জন তার দল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। বহু চেষ্টার পর সমস্ত জওয়ানকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। ঘটনাস্থলে পৌঁছান এসএসবি অফিসাররাও। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশকর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে।আশেপাশের অনেক থানার পুলিশও ক্যাম্প করছে। এসডিপিও গৌতম কুমার জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হচ্ছে এবং তাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিহার যে 'জঙ্গলরাজের' কলঙ্ক থেকে মুক্ত হতে পারেনি, ফের তার প্রমাণ মিলল। বৃহস্পতিবারই আরারিয়ার এক এএসআই রাজীব কুমারকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে। এক দুষ্কৃতীকে ধরতে গিয়েছিলেন রাজীব এবং তাঁর দল। দুষ্কৃতীকে ধরেও ফেলেন এএসআই। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশের হাত থেকে দুষ্কৃতীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন গ্রামবাসীরা। সেই সময় এএসআইকে হাতের সামনে পেয়ে বেধড়ক মারধর করেন। এই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুঙ্গেরে আরও এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টরকে খুনের অভিযোগ ওঠে। মৃত এএসআইয়ের নাম সন্তোষ কুমার। ভাবুয়ার বাসিন্দা।