মৃতের এক আত্মীয় মারফৎ পুলিশ এই ঘটনার কথা জানতে পারে।তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন, যে বারবার চেষ্টা করেও কেউ ঘরের দরজা খুলছে না। এরপর পুলিশের একটি দল লঙ্কার মাদারভা চিট্টুপুর এলাকার ওই বাড়িতে পৌঁছয়। পুলিশ গেলেও কেউ ঘরের দরজা খোলনি। তখন ভিডিয়োগ্রাফি করে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে পুলিশ।
মৃতদেহের প্রতীকী ছবি।
কলকাতার রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া বারাণসীতে। এক বছর ধরে মায়ের মৃতদেহ আগলে রাখলেন দুই বোন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতা মায়ের নাম ঊষা তিওয়ারি (৫২) এবং দুই বোনের নাম হল পল্লবী তিওয়ারি (২৭) এবং বৈশ্বিকী তিওয়ারি (১৮)। খবর পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় ওই বাড়ি থেকে মৃতের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে লঙ্কা থানার পুলিশ। দুই বোন মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃতের এক আত্মীয় মারফৎ পুলিশ এই ঘটনার কথা জানতে পারে।তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন, যে বারবার চেষ্টা করেও কেউ ঘরের দরজা খুলছে না। এরপর পুলিশের একটি দল লঙ্কার মাদারভা চিট্টুপুর এলাকার ওই বাড়িতে পৌঁছয়। পুলিশ গেলেও কেউ ঘরের দরজা খোলনি। তখন ভিডিয়োগ্রাফি করে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে পুলিশ। বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করার পরেই পুলিশ একটি ঘরে মহিলার কঙ্কাল দেখতে পেয়ে হতবাক হয়ে যায়। জানা গিয়েছে, ওই বাড়িতে একটি ঘরে মৃতা মহিলার কঙ্কাল ছিল এবং অন্য ঘরে ছিলেন দুই বোন। এরপর পুলিশ কঙ্কালটি উদ্ধার করে। দুই বোন পুলিশের কাছে দাবি করেছে, তাদের মা গত বছরের ডিসেম্বরে অসুস্থতার কারণে মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁকে দাহ করার জন্য তাদের কাছে কোনও টাকা ছিল না। সেই কারণে মৃতদেহ তারা বাড়িতেই রেখে দিয়েছিলেন। পুলিশের দাবি, দুই বোন মানসিক ভারসাম্যহীন। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, তাদের বাবা বালিয়ায় থাকেন এবং গত দুই বছর ধরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি তিনি।