শ্রীনগরের মসজিদে ‘আজাদি’ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল ১৩ জনকে। জনসুরক্ষা আইনের (পাবলিক সেফটি অ্যাক্ট) আওতায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হতে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে, যাঁরা শুক্রবারের প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে হাতেগোনা লোক সেদিন ঝামেলা পাকিয়েছিল। প্রার্থনার পর কয়েকজন ‘আজাদি’ স্লোগান দিয়েছিল। পুলিশের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) দুপুরে জামিয়া মসজিদে শুক্রবার প্রার্থনা হয়েছিল। সেজন্য জমায়েত হয়েছিল প্রচুর মানুষের। প্রায় ২৪,০০০ জন সেই প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। যা সাম্প্রতিক সময় অন্যতম বেশি।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রার্থনার পর কিছুক্ষণ ধরে জনা বারো লোক দেশবিরোধী এবং প্ররোচনামূলক স্লোগান দিতে থাকে। তাতে সামিল হয় আরও কয়েকজন। যদিও অধিকাংশ মানুষ সেই স্লোগান থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন।’
উল্লেখ্য, কাশ্মীরের অন্যতম বড় মসজিদ হল জামা মসজিদ। যা বছরের পর বছর ধরে কাশ্মীর উপত্যকার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী থেকেছে। আগে হুরিয়ত নেতা মিরওয়েজ উমর ফারুখ সেখানে সাপ্তাহিক ধর্মীয় ভাষণ দিতেন। তবে ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকে তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, যারা স্লোগান দিচ্ছিল, তাদের আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন মসজিদের ম্যানেজিং কমিটর স্বেচ্ছাসেবকরা। তা নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে বচসাও হয়।