উত্তর প্রদেশের হাথরস জেলায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে অন্তত ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাথরস জেলার সিকান্দ্রা রাউ এলাকার রতি ভানপুর গ্রামে বিশেষভাবে স্থাপিত তাঁবুতে এক ধর্মপ্রচারক তাঁর অনুগামীদের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। সেই অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই তাঁবু থেকে বের হওয়ার সময় শুরু হয় ঠেলাঠেলি। এডিজি আগ্রার জোন অফিসের পিআরও ১০৭জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে মৃত্যুর সংখ্যা একেবারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গোটা ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও এনিয়ে শোকবার্তা জানিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সৎসঙ্গে উপস্থিত লোকজন প্রচন্ড গরমের মধ্য়ে সমস্যায় পড়ে যান। এরপরই লোকজন দৌড়াদৌড়ি শুরু করলে পদপিষ্টের ঘটনা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অনুষ্ঠানের সময় প্রচণ্ড গরম ও আর্দ্রতা ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, 'এটা ছিল ধর্ম প্রচারক ভোলে বাবার সৎসঙ্গ সভা। আলিগড় রেঞ্জের ইন্সপেক্টর জেনারেল শলভ মাথুর জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে এটাহ ও হাথরস জেলার সীমান্তে ওই জায়গায় জমায়েত হওয়ার জন্য সাময়িক অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একের পর এক মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে। মৃত্যুর সংখ্য়া ক্রমশ বাড়ছে।
হাথরাসের গঙ্গা দেবী (৭০), কাসগঞ্জের প্রিয়াঙ্কা (২০), মথুরার বাসিন্দা জসোদা (৭০) এবং এটাহের সরোজ লতা (৬০)। মৃত দুই শিশুও কাব্য (৪) ও আয়ুষ (৮) সহ একের পর এক মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।