পাসপোর্ট, ভিসা ছাড়াই অবৈধ ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন ১০ বাংলাদেশি। সেই অনুপ্রবেশকারীদের ভুবনেশ্বর থেকে ধরল স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। ধৃতদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ, তিনজন মহিলা এবং এক শিশু। বাংলাদেশের ময়মনসিংহ, বাগেরহাট, ঢাকা এবং পিরোজপুর জেলা থেকে ভারতে এসেছে এই অনুপ্রবেশকারীরা। ভুবনেশ্বর রেলওয়ে স্টেশনে এসটিএফ কর্মকর্তারা তাদের গ্রেফতার করেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রকাশ করেছে যে তারা তাদের এজেন্টের মাধ্যমে ধুবড়ি (অসম) দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করেছিল। কয়েকদিন আগে ভুবনেশ্বরে পৌঁছেছিল তারা। এসটিএফ পুলিশ তাদের কাছ থেকে ৭টি মোবাইল ফোন, কিছু বাংলাদেশি মুদ্রা এবং ভারতীয় মুদ্রার নোট বাজেয়াপ্ত করেছে। (আরও পড়ুন: খুশির রাতে ধুন্ধুমার, ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় উদযাপনের মিছিলে ছোড়া হল পাথর)
আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ ও করিমনগরে ভারতীয় ফ্যানদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগ
এসটিএফ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ধৃতদের বিরুদ্ধে বিদেশি আইন ১৯৪৬-এর ১৪ নং ধারার অধীনে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। সকল ধৃতকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ৬ মাস আগেই ওড়িশা সরকার ঘোষণা করেছিল যে রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। (আরও পড়ুন: কানাডার নয়া প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন এক 'রাজনৈতিক বহিরাগত', কে এই মার্ক কার্নি?)
আরও পড়ুন: সেই 'মোটা' রোহিতের পুল শটেই 'আউট' শামা, ভারতের CT জয়ের পর কংগ্রেস নেত্রী বললেন…
যদিও রাজ্যে কোনও সাম্প্রতিক গণনা করা হয়নি, তবে ২০২৩ সালে বিধানসভায় পেশ করা তথ্য অনুসারে, ওড়িশায় ১১টি জেলায় ১ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩২ জন বাংলাদেশি বসতি স্থাপন করেছিল। সেই সময়কার তথ্য অনুযায়ী, ওড়িশার ৭টি জেলায় ৩ হাজার ৭৪০ জন অনুপ্রবেশকারী ছিলেন। এই অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে, ১ হাজার ৬৪৯ জন অবৈধ অভিবাসী কেন্দ্রপাড়ায়, ১ হাজার ১১২ জন জগৎসিংপুরে, ৬৫৫ জন মালকানগিরিতে, ১৯৯ জন ভদ্রকে, ১০৬ জন নবারংপুরে, মাত্র ১৭ খুরদা (ভুবনেশ্বর) এবং ২ জন বারগারে ছিলেন। এই অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে, কেন্দ্রপাড়াযর ১ হাজার ৫৫১ জনকে ভারত ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল ২০০৫ সালেই। কিন্তু তাদের নির্বাসিত করা হয়নি।