নতুন করে সংঘর্ষ উত্তরপ্রদেশে, পুড়ল পুলিশ চৌকি, মৃত্যু একজনের
3 মিনিটে পড়ুন Updated: 21 Dec 2019, 06:42 PM ISTসংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ঘিরে জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ বাধে রামপুরে। মৃত্যু হয়েছে একজনের।

রাজ্য শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটলহিংসা রুখতে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু, তারপরও বদলানো না ছবিটা। দফায় দফায় উত্তপ্ত হল উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন প্রান্ত। রামপুরে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে মৃত্যু হয় এক বিক্ষোভকারীর। বিকেলে নতুন করে অশান্তি ছড়ায় কানপুরে। যতিমমহল পুলিশ চৌকিতে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।
আজ সকাল থেকেই রামপুরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল। এরইমধ্যে প্রশাসনের অনুমিত ছাড়াই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী মিছিল শুরু হয়। ক্রমশ হিংসাত্মক আকার নেয় বিক্ষোভ। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়েন বিক্ষোভকারীরা। প্রায় ঘণ্টাদুয়েক চলে হিংসা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তড়িঘড়ি সেখানে অতিরিক্ত আধা-সামরিক বাহিনী পাঠানো হয়।
তবে লখনউ, মীরাট, কানপুরে উত্তেজনা থাকলেও দুপুর পর্যন্ত বিক্ষোভের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু, বিকেলে ফের হিংসা ছড়িয়ে পড়ে কানপুরে। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। মিছিল থেকে পুলিশের দিকে উড়ে আসতে থাকে পাথর। পালটা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।
হিংসা রুখতে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। তারপরও দফায় দফায় উত্তপ্ত হল উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন প্রান্ত। রামপুরে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে মৃত্যু হয় এক বিক্ষোভকারীর। বিকেলে নতুন করে অশান্তি ছড়ায় কানপুরে। যতিমমহল পুলিশ চৌকিতে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।
আজ সকাল থেকেই রামপুরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল। এরইমধ্যে প্রশাসনের অনুমিত ছাড়াই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী মিছিল শুরু হয়। ক্রমশ হিংসাত্মক আকার নেয় বিক্ষোভ। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়েন বিক্ষোভকারীরা। প্রায় ঘণ্টাদুয়েক চলে হিংসা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তড়িঘড়ি সেখানে অতিরিক্ত আধা-সামরিক বাহিনী পাঠানো হয়।
তবে লখনউ, মীরাট, কানপুরে উত্তেজনা থাকলেও দুপুর পর্যন্ত বিক্ষোভের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু, বিকেলে ফের হিংসা ছড়িয়ে পড়ে কানপুরে। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। মিছিল থেকে পুলিশের দিকে উড়ে আসতে থাকে পাথর। পালটা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।
অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশে গতকালের হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মিরাটে পাঁচজন মারা গিয়েছেন। কানপুর, বিজনোরে ও ফিরোজাবাদে দুজন করে মোট ছ'জনের খবর এসেছে। মুজফ্ফরনগর, বারাণসী ও সম্বলে একজন করে মারা গিয়েছেন। মীরাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সিএমও হর্ষ বর্ধন বলেন, জাহির, মহসিন ও নুর মহম্মদকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল। গতকাল গভীর রাতে মৃত্যু হয়েছে আসিফের। এছাড়াও আশপাশের জেলা থেকে অনেকেই হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন। এর মধ্যে বিজনোরের কাফিল ও সলমন এবং মীরাটের সমীর ও আমজাদের চিকিৎসা চলছে। মোহিত শর্মা নামে এক পুলিশ কনস্টেবলও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিন আরপিএফ কর্মী ও এক মহিলা পুলিশকর্মীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে উত্তরপ্রদেশে এখনও পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।'
উত্তরপ্রদেশের আইজি (আইন-শৃঙ্খলা) জানান, ১০ ডিসেম্বর থেকে নয়া আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জন্য ৭০৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সর্তকতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে হেফাজতে রাখার পর ৪,৫০০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ১৫ টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ২৬৩ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৫৭ জনের গুলির আঘাত লেগেছে। আইজি বলেন, 'অশান্তি ছড়াতে পারে এমন উপাদানগুলির উপর কড়া নজর রেখেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত ১৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লখনউয়ে ৩৬ জনকে আটক করেছই আমরা।'
প্রশাসন সূত্রে খবর, মীরাট রেঞ্জে ১০২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হিংসা ও অশান্তি ছড়ানোর জন্য ১০টি মামলা দায়ের হয়েছে। সাহারানপুর রেঞ্জে ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও জামিয়া-ই-উলেমা হিন্দের সহ-সভাপতি মৌলবী মুকারামের দাবি, ১০০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কানপুরে রেঞ্জে ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৫,০০০ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১২টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন বা ন্যাশানাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের আওতায় মামলা রুজু করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ১৪৪ ধারা অমান্য করায় প্রয়াগরাজে ১০,০০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
প্রয়াগরাজের জেলাশাসক ভানুচন্দ্র গোস্বামী জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আজ সকালে অশান্ত এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন বারাণসীর জেলাশাসক কৌশল রাজ শর্মা। তিনি বলেন, 'ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। শান্তি ও ঐক্য বজায় রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।'
পুলিশের সিনিয়র সুপারিটেনডেন্ট প্রভাকর চৌধুরী বলেন, 'চিহ্নিতকরণের পর চারজনের বিরুদ্ধে ন্যাশানাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের আওতায় মামলা রুজু করা হয়েছে।'
এদিকে, গুজব রুখতে ২১ টি জেলায় শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারপর পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রাজ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports