অর্শ বা পাইলস একটি সাধারণ কিন্তু অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির মলদ্বারের চারপাশে ক্রমাগত ফোলাভাব এবং ব্যথা থাকে। বিশেষ করে খাদ্যাভ্যাসের প্রতি মনোযোগ না দেওয়ার কারণে এই সমস্যাটি দেখা দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্য, কম আঁশযুক্ত খাবার এবং অতিরিক্ত মশলাদার ও ভাজা খাবার খাওয়ার ফলে পাইলস হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, বিশেষজ্ঞরা সবসময় পাইলস রোগীদের এমন জিনিস খাওয়ার পরামর্শ দেন যা ফাইবার সমৃদ্ধ, জলের পরিমাণ সমৃদ্ধ এবং প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্ট ধারণ করে। যার ফলে মল নরম থাকে এবং ব্যথা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু আপনি কি জানেন যে অনেক সময় পাইলস রোগীরা অজান্তেই কিছু জিনিস খেয়ে ফেলেন, যা তাঁদের সমস্যা কমানোর পরিবর্তে আরও বাড়িয়ে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে, পাইলস রোগীদের কী কী খাবার খাওয়া উচিত এবং কী কী এড়িয়ে চলা উচিত তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
পাইলস রোগীরা এই জিনিসগুলি খেলে উপকার পাবেন
ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য
পাইলস রোগীদের ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। ফাইবার মলকে নরম করে এবং মলত্যাগের প্রক্রিয়া সহজ করে, ফলে পাইলস থেকে মুক্তি দেয়। এর জন্য, আপনি গোটা শস্য (যেমন ওটস, বাদামী চাল), ডাল, মুগ, ছোলা, আপেল, নাশপাতি, গাজর, ব্রকলি, পালং শাক খেতে পারেন। এই জিনিসগুলিতে উপস্থিত ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে অন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
( পু্ত্র সন্তানের ৩০ টি ট্রেন্ডি নামের তালিকা রইল! বেছে নিন আপনার পছন্দেরটি)
ফলমূল ও শাকসবজি
কিউই, পেঁপে, শসা, কুমড়া, শালগমের মতো তাজা ফল এবং সবজিতে প্রচুর পরিমাণে জল এবং ফাইবার থাকে। এগুলো মল নরম করে ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
প্রোবায়োটিকস
দই এবং ঘোলের মতো প্রোবায়োটিকগুলি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এগুলো খেলে হজমশক্তি উন্নত হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কম হয়।