আজকাল লাইফস্টাইল এমন যে আপনা থেকেই ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। দুর্বল খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক পরিশ্রমের অভাব স্থূলতা বৃদ্ধির সবচেয়ে মৌলিক এবং প্রধান কারণ। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি যদি ওজন কমাতে চান তবে নিয়মিত সঠিক ডায়েট এবং ওয়ার্কআউট উভয়ের দিকেই মনোযোগ দেওয়া জরুরি। যাইহোক, কিছু জিনিস আছে যা ওজন কমানোর প্রক্রিয়াটিকে একটু দ্রুত করতে সাহায্য করতে পারে। এর মধ্যে একটি হল কিসমিস। হ্যাঁ, কিসমিস আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে! এটি নিয়ে অনেক গবেষণাযতেও নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। তাহলে চলুন আজ জেনে নিই ওজন কমানো ও কিশমিশের সংযোগ সম্পর্কিত কিছু মজার বিষয়।
জেনে নিন ওজন কমাতে কিশমিশ কতটা কার্যকরী
প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টিতে ভরপুর, কিসমিস ওজন কমানোর জন্য একটি ভাল বিকল্প। আসলে, কিশমিশে ক্যালোরি কম থাকে, যার কারণে এটি একটি ভাল স্ন্যাক অপশন হয়ে ওঠে। এ ছাড়া কিশমিশে প্রাকৃতিক ফলের চিনি ও লেপটিন পাওয়া যায়, যা অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায় বলে কিশমিশ অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী। এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
( Leopard Entered in Wedding: বিয়ের আসরে হঠাৎ লেপার্ড! গাড়িতে আটকে বর-কনে, ৫ ঘণ্টা পর…তুলকালাম কাণ্ড কোথায়?)
ওজন কমাতে এইভাবে কিসমিস খান
কিশমিশ খাওয়ার সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর উপায় হল সারারাত ভিজিয়ে রেখে খাওয়া। ওজন কমানোর জন্যও এই পদ্ধতি কার্যকর। প্রায় ১০ থেকে ১৫টি কিশমিশ সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ভালো করে চিবিয়ে খান। আসলে, এটি করার ফলে, অবাঞ্ছিত খনিজ এবং ভিটামিনগুলি জলে দ্রবীভূত হয় এবং শরীর কেবল প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়, যার ফলে তাদের শোষণও দ্রুত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সারারাত ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ খেলে শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যায়, যা পুষ্টি শোষণের ক্ষমতা বাড়ায়।