বাঘের দেখা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। চিড়িয়াখানায় অনেক সময় দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকলেও, বাঘ মামা দেখা দেন না। আর ন্যাশনাল পার্কে ঘুরতে গিয়ে অনায়াসেই সেই সুযোগ পেয়ে যান পর্যটকেরা। হাতের মুঠো ফোন উঁচিয়ে সবটা ক্যামেরাবন্দি করবেন না, তা কীভাবে সম্ভব! আর এই কাজ করেই তাঁরা পড়লেন বিপাকে।
আরও পড়ুন: (Shantiniketan Poush Mela: ‘নাগরদোলা চড়তেন অমল পালেকর, শ্যাম বেনেগাল’ তারকাখচিত পৌষ মেলা নিয়ে অকপট সবুজকলি)
কী ঘটেছে
জানা গিয়েছে, রাজস্থানের রণথম্ভোর জাতীয় উদ্যানে ঘটেছে ঘটনাটি। সেখানে একদল পর্যটক বিপজ্জনকভাবে খুব কাছ থেকে একটি বাঘের হরিণ শিকারের ভিডিয়ো করার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। পার্কের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট সূত্রে খবর পর্যটকরা সাফারি জিপে করে এই বিরল এবং সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ বন্যপ্রাণীর ঘটনাটি অত্যন্ত কাছ থেকে দেখেছেন। যে কোনও মুহূর্তে বিপদ হতে পারত।
কটাক্ষ চরমে
দর্শকদের একাংশ পোস্টটির প্রশংসা করলেও, অনেক বন্যপ্রাণীপ্রেমী দ্রুত এর সমালোচনা করেছেন। পর্যটকরা বাঘের কতটা কাছাকাছি চলে গিয়েছেন তা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত ছিলেন। অনেকেই উল্লেখ করেছেন যে পর্যটক এবং সাফারি গাইড উভয়ই প্রাণীটির আবাসস্থলের খুব কাছে গিয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করছেন।
আরও পড়ুন: (Viral Video: অফিস যেতে হলে হাজার হাজার সিঁড়ি বেয়ে নামতে হয় নিচে, প্রতিদিনের সংগ্রাম দেখালেন চিনের ব্যক্তি)
একজন বলেছেন, এটি অপ্রয়োজনীয়। এত কাছাকাছি যাওয়ার প্রয়োজন ছিল না। অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, 'চালক এবং গাইডরা খুব কাছে এসে বাঘের প্রতি নিজেদের অবহেলা প্রকাশ করেছেন। কয়েকজন আবার পর্যটক এবং বাঘ উভয়ের জন্যই বিপদ নিয়েও চিন্তিত ছিলেন, পরামর্শ দিয়ে বলেন যে এই ঘনিষ্ঠ সাক্ষাৎ মানুষের জীবন নিয়ে চাপ তৈরি করতে পারে বা বাঘকে আক্রমণাত্মক করে তুলতে পারে।
পার্ক কর্তৃপক্ষের কেন এই বিষয়ের অনুমতি দিল, সে বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন কিছু দর্শ। প্রাণী এবং পর্যটক উভয়কেই নিরাপদ রাখার তাদের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। একজন ব্যক্তি বলেছেন, 'প্রাণী এবং পর্যটক উভয়ের নিরাপত্তার জন্য এটি কখনই উচিত ছিল না। আর বন্যেরা কি জঙ্গলেও নিরাপদ নয়!'