বর্তমান তরুণ প্রজন্মের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল চুল পড়া। বিশেষ করে শীতকালে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তাছাড়াও এই সময় খুশকির সমস্যাও দেখা দেয়। আর সেই কারণেও চুল পড়ার সমস্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বাড়িতে থাকা ঘরোয়া উপাদান দিয়েই এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
শীতে চুল পড়া ও খুশকির সমস্যায় ভুগছেন? এই সব ঘরোয়া উপাদানেই চুল হবে মজবুত
বর্তমান তরুণ প্রজন্মের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল চুল পড়া। বিশেষ করে শীতকালে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তাছাড়াও এই সময় খুশকির সমস্যাও দেখা দেয়। আর সেই কারণেও চুল পড়ার সমস্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বাড়িতে থাকা ঘরোয়া উপাদান দিয়েই এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
দই ও মধু: দই এবং মধু ব্যবহার করে খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। দই এবং মধু দিয়ে এই সমস্যা খুব সহজেই দূর করতে পারেন। কারণ দইতে উপস্থিত প্রোবায়োটিক আপনার মাথার ত্বকের মাইক্রোফ্লোরা বজায় রাখতে সাহায্য করে। আর মধু চুলের শুষ্কতা দূর করে, চুলের রং অপরিবর্তন রাখতে সাহায্য করে। এই জন্য প্রথমে দই ও মধু মিশিয়ে চুলের গোড়া ও মাথায় লাগিয়ে নিতে হবে। তারপর ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
মেথি ও লেবু: মেথি পুষ্টির ভান্ডার। চুলের সমস্যার সমাধান করতে মেথির জুড়ি মেলা ভার। খুশকির সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা যদি মেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে। পরের দিন সকালে নিম পাতা দিয়ে তা পিষে নেন। তারপর লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণটি মাথার ত্বকে লাগান তাহলে উপকার পাবেন। এই মিশ্রণটি আধ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে একবার এটি করলে চুলকানি ও খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
লেবু ও নারকেল তেলের মাস্ক: এই মাস্ক খুশকি থেকে মুক্তি পেতে কার্যকরী। এর জন্য লেবুর রসে নারকেল তেল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগাতে হবে। লেবুর অম্লতা মাথার ত্বকের পিএইচ মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখবে এবং খুশকির সমস্যাও দূর হবে।
নিম এবং আমলকির হেয়ার প্যাক: নিম পাতা এবং আমলকির অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য খুশকির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। জল বা অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে নিমপাতা এবং আমলকি গুঁড়ো করে মিশিয়ে হেয়ার প্যাক তৈরি করুন। তারপর তা চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই ঘরোয়া উপায়ে চুল হবে মজবুত। খুশকিও হবে দূর। এই ভাবে খুব সহজেই বাড়িতে থাকা ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করে আপনার চুলের সমস্যার সমাধান করতে পারেন।