অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ক্রমশ স্থূলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয়দের। আর স্থূলতার কারণে সংশ্লিষ্ট রোগও বাড়ছে। এমন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) ২০২৪ সালে নতুন খাদ্য নির্দেশিকাও প্রকাশ করেছে৷ অস্বাস্থ্যকর খাবারের বৃদ্ধি এবং তাদের প্রভাবগুলিকে মোকাবেলা করার বিষয়ে দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশিকাগুলি।
আইসিএমআর-এর খাদ্যতালিকা নির্দেশিকা
আইসিএমআর-এর ১৭টি খাদ্যতালিকা নির্দেশিকা রয়েছে। সঠিক পুষ্টি পেতে এবং রোগগুলি এড়াতে সহায়তা করবে এই নির্দেশিকাগুলি।
- সুষম খাদ্যের জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবার খান।
- নিশ্চিত করুন যে শিশু এবং কিশোররা পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর খাবার পায়।
- প্রচুর শাকসবজি এবং শিম খান।
- পরিমিত পরিমাণে তেল ব্যবহার করুন (খুব বেশি নয়)।
- ভালো মানের প্রোটিন খান (যেমন মাংস, দুগ্ধজাত খাবার বা উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিন)।
- স্থূলতা প্রতিরোধ করতে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করুন।
- সক্রিয় থাকুন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- আপনার খাদ্যতালিকায় নুন সীমিত করুন।
- নিরাপদ এবং পরিষ্কার খাবার খান।
- অনেক প্রসেসড ফুড (যেমন জাঙ্ক ফুড) খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
- বয়স্ক ব্যক্তিদের পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিতে বলুন।
- খাবারের লেবেলগুলি কীভাবে পড়তে হয় তা শিখুন।
উল্লেখ্য, এই নির্দেশিকাগুলি শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানো, ছয় মাস পরে তাদের শক্ত খাবার খাওয়ানো শুরু করা এবং গর্ভবতী মহিলা কিংবা নতুন মায়েরা অতিরিক্ত খাবার এবং পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারেন, তা নিশ্চিত করার গুরুত্বের উপর জোর দেয়।
কী বলেছেন ডাক্তাররা
এদিকে, এইমস-এর চিকিৎসকরা বলেছেন যে মানুষের আরও বেশি করে ডাল, ফল এবং শাকসবজি খেতে হবে, যা সুস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য সুষম খাদ্য খাওয়া, অতিরিক্ত খাবার না খাওয়া এবং সঠিক খাদ্য নির্দেশিকা অনুসরণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা। এইমস-এর চিফ ডায়েটিশিয়ান ডঃ পারমিত কৌর বলেন, 'ভারতীয়রা বেশি অস্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছে, এবং এর ফলে খারাপ খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কিত আরও রোগ হচ্ছে। ভারতে ৫৬ শতাংশ রোগ অস্বাস্থ্যকর খাবারের সাথে যুক্ত, এবং স্থূলতা একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা, শুধু ভারতেই নয় সারা বিশ্বে।'
খাদ্যতালিকায় ঘাটতি
চিকিৎসকরা উল্লেখ করেছেন যে অনেক ভারতীয় ডাল, ফল এবং শাকসবজির মতো পর্যাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ খাবার খাচ্ছেন না। এটি সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।