কাঁঠাল ভারতে অতি প্রচলিত একটা ফল। গ্রীষ্মকালে কাঁঠাল পাকার গন্ধে চারিদিক ম ম করে। স্বাদ এবং স্বাস্থ্য উভয় দিক থেকেই কিন্তু কাঁঠাল বিশেষভাবে উপকারী। কাঁঠাল কিন্তু যথেষ্ট পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি খাবার। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে কাঁঠাল বিশেষভাবে উপকারী। জেনে নিন গ্রীষ্মকালে কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।
শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে: পাকা কাঁঠাল হাইড্রেশন সমৃদ্ধ একটি ফল যার মধ্যে ৭০ থেকে ৮০% জল থাকে। ঘামের সময় শরীর থেকে যে তরল পদার্থ বেরিয়ে যায় তা কাঠালের মাধ্যমে পূরণ হওয়া সম্ভব। কাঁঠাল শরীরকে শীতল রাখার প্রক্রিয়াকেও সাপোর্ট করে। ফলে এটি গরম আবহাওয়ায় শরীরকে সতেজ ও উজ্জীবিত রাখে। এতে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রোলাইট যা শরীরে তরল ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, জল শূন্যতা প্রতিরোধ করে এবং শরীরে যে ক্লান্তি আছে তা কমাতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: কাঁঠাল কিন্তু শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যেমন গ্রীষ্মকালে আমাদের শরীরে তাপ সম্পর্কিত কোনও সংক্রমণ হলে বা মরসুমী অসুস্থতা যেমন জ্বর বা শারীরিক দুর্বলতা জনিত সমস্যা দেখা যায়, সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সুরক্ষার প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে কাঁঠাল কিন্তু বিশেষভাবে উপকারী একটি ফল। কাঁঠালের মধ্যে আছে ভিটামিন সি যা শ্বেত রক্তকণিকাকে শক্তিশালী করে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করে। কাঁঠালে জিংক এবং আয়রন রয়েছে যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
হজমশক্তি বাড়ায়: কাঁঠাল হজম শক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে কারণ কাঁঠালের মধ্যে রয়েছে ফাইবার যা হজমের জন্য অত্যন্ত সহায়ক। কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে কাঁঠাল খুব উপকারী কারণ কাঁঠলে থাকে এনজাইম। যা পাচন ক্রিয়ায় সাহায্য করে। কাঁঠালের মধ্যে রয়েছে প্যাপেইন জাতীয় জৈব। যা, প্রোটিন ভেঙে পুষ্টি শোষণ করতে বিশেষভাবে সহায়ক।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করে: কাঁঠাল ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়ক। কারণ কাঁঠালে চর্বি ও ক্যালরি খুব কম পরিমাণে থাকে। আর কাঁঠালের মধ্যে থাকে আঁশ, যা পেট ভরাট রাখতে সাহায্য করে। ফলে বারবার খাবার খাওয়ার যে ইচ্ছা, সেটা অনেকটাই কমে যায় এবং অস্বাস্থ্যকর খাওয়াও এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। কারণ কাঁঠালের খেলে পেট ভরা থাকে। এইভাবে কাঁঠাল ওজন নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
ত্বকের জন্য উপকারী: কাঁঠাল কিন্তু ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এর মধ্যে ভিটামিন সি থাকে ফলে এটি মুক্ত র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, সেই সঙ্গে বার্ধক্যের লক্ষণ বিলম্বিত করে। এটি কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে। কাঁঠালে যেহেতু জল থাকে ফলে কাঁঠাল ত্বককে ভিতর থেকে হাইড্রেটেড রাখে কাঁঠালে ভিটামিন এ এবং ফ্লাভোনয়েড থাকে, যা ত্বক মেরামতে সাহায্য করে ব্রণ দূর করে এবং ত্বকের উন্নতি ঘটায়।