Kali Puja 2024 Service Kali: সার্ভিস কালীর কাছে পুজো দিলেই চাকরি বাঁধা। এই বিশ্বাসেই বাঁকুড়ায় এই পুজোয় লক্ষ লক্ষ ভক্তের ভিড় হয় আজও।
সার্ভিস কালীকে পুজো দিলেই হবে চাকরি!
Kali Puja 2024 Service Kali: শশ্মানকালী রক্ষাকালী থেকে শুরু করে আরও কতশত নাম মা কালীর। এলাকাভিত্তিক নামও প্রচুর রয়েছে এই তালিকায়। তেমনই এক কালী হলেন সার্ভিস কালী। বাাঁকুড়ায় এই কালী পূজিত হন। কিন্তু সার্ভিস অর্থাৎ পরিষেবা কেন যুক্ত হয়েছে কালী শব্দের আগে? এর সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে এক কাহিনি।
জড়িয়ে বেকারত্বের যন্ত্রণা
কাহিনিটির জন্য ফিরে যেতে হয় ১৯৪০ সালের দোরগোড়ায়। তখন বাঁকুড়ার সোনামুখী শহরের বেশ কিছু যুবক বেকারত্বে ভুগছিলেন। বেকারত্বের জ্বালা আলাদা করে বলে দিতে হয় না। এই যন্ত্রণা থেকে নিস্কৃতি পেতে তাঁরা মা কালীর কাছে মানত করেন। চাকরি পেয়ে গেলে মা কালীর মন্দির প্রতিষ্ঠার মানত করেছিলেন ওই যুবকরা। ঘটনাক্রমে পরের বছরই চাকরি হয়ে যায় তাদের। তার পরই একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন যুবকেরা মিলে। সে-ই কালী মায়ের মন্দিরই ক্রমে পরিচিতি পায় সার্ভিস কালী মিলে। প্রায় ৮০ বছর পেরিয়ে আজও সেই বিশ্বাস অমলিন। এখনও মনে করা হয় সার্ভিস কালীর কাছে মানত করলে চাকরি বাঁধা।
বহু তরুণ-তরুণীরা প্রতি বছর সার্ভিস কালীর কাছে মানত করেন। যেমন শিবু দাসের কথায়, ‘দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু কিছুতেই ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ছিল না। দুই বছর আগে মানত করেছিলাম ঠাকুরের কাছে। তার পরের চেষ্টাতেই ভালো ফল করি। দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় চাকরিটা হয়ে যায়। মা সত্যি জাগ্রত।’ অন্য আরেক যুবতী প্রিয়া মণ্ডল জানাচ্ছেন, ‘আমি ছোট থেকেই দেখেছি পরিবারের সবাই কালীভক্ত। আমিও পুজো-আচ্চা করতাম। পরিবারে অনটন লেগেইছিল। তাই গ্র্যাজুয়েশন পাশের একটি কাজের খোঁজ শুরু করি। সার্ভিস কালীর কাছে মানতও রেখেছিলাম। দুই মাসের মধ্যে কলকাতার একটি সংস্থায় কাজ পেয়ে যাই। ৪ বছর সেখানেই কাজ করছি।’
প্রতি বছরই বড় করে কালীপুজোর আয়োজন করা হয় এখানে। বাঁকুড়ায় কমবেশি দুশোর বেশি পুজো হয়। তার মধ্যে অন্যতম বড় পুজো হল সার্ভিস কালীর পুজো। ভিড় হয় মারাত্মক। ভিড়ের চাপ সামাল দিতে উদ্যোক্তারা বিশেষ ব্যবস্থাও রাখেন।