বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > ভারতের পরমাণু শক্তিকে সন্তানের মত ‘বড়’ করেছিলেন, ভারত-পাক উত্তেজনার আবহেই প্রয়াত বিজ্ঞানী এম আর শ্রীনিবাসন
পরবর্তী খবর
ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে বারবার উঠে এসেছে পরমাণু শক্তির প্রসঙ্গ। ভারতের সেই পরমাণু শক্তি বাড়ানোর নেপথ্যে যার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান, তিনি ডঃ এম আর শ্রীনিবাসন। মঙ্গলবার ৯৫ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন ভারতের প্রথম সারির বিজ্ঞানী ডঃ এমআর শ্রীনিবাসন।
পারমাণবিক গবেষণা চুল্লি নির্মাণ করেন
ডঃ শ্রীনিবাসন ১৯৫৫ সালের সেপ্টেম্বরে পরমাণু শক্তি বিভাগে (DAE) যোগদান করেন। ডঃ হোমি জাহাঙ্গীর ভাবার সঙ্গে ভারতের প্রথম পারমাণবিক গবেষণা চুল্লি (নিউক্লিয়ার রিয়্যাকটর) ‘অপ্সরা’ নির্মাণের কাজ করেছিলেন তিনি। ১৯৫৯ সালের আগস্ট মাসে ভারতের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য তাঁকে প্রকল্প প্রধান (প্রোজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার) হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। ১৯৬৭ সালে তিনি মাদ্রাজ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। তাঁর নেতৃত্বে দেশের পারমাণবিক কর্মসূচি ব্যাপক মাত্রায় উন্নত হতে থাকে।আরও পড়ুন - প্রথম বইই এনে দেয় বিশ্বব্যাপী খ্যাতি, বিতর্কও জোটে! বাংলার একমাত্র বুকারজয়ী লেখিকা ইনি, চেনেন?
ভারতের পরমাণু প্রকল্পের প্রধান
ডঃ শ্রীনিবাসন জাতীয় ক্ষেত্রেও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭৪ সালে তিনি ডিএই-এর পাওয়ার প্রধান প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরিচালক এবং ১৯৮৪ সালে নিউক্লিয়ার পাওয়ার বোর্ডের চেয়ারম্যান হন। এই পদে থাকাকালীন সারা দেশে সমস্ত পরমাণু শক্তি প্রকল্পের পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন এবং পরিচালনা তদারকি করেন।আরও পড়ুন - ধানের শিস, হাঁস না নারীর মুখ? কোনটা প্রথমে চোখে পড়ল? কার মন কেমন, বলে দেবে প্রশ্নটার উত্তর
১৮টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট নির্মাণ করেন
১৯৮৭ সালে পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং পরমাণু শক্তি বিভাগের সচিব নিযুক্ত হন। একই বছর, তিনি নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড (এনপিসিআইএল)-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হন। তাঁর নেতৃত্বে ১৮টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট তৈরি করা হয়েছিল - যার মধ্যে সাতটি কার্যকর ছিল, সাতটি নির্মাণাধীন ছিল। বাকি চারটি পরিকল্পনা পর্যায়ে ছিল।