রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি-সহ নানান উপকারিতা লাভের জন্য আমরা ড্রাই ফ্রুট খেয়ে থাকি। শীতকালে এই শুকনো ফল বা ড্রাই ফ্রুট খাওয়া হয়ে পড়ে আরও জরুরি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করার পাশাপাশি পাচনতন্ত্রও মজবুত করে এগুলি। আমন্ড, কাজু, আখরোট, পেস্তা খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। এগুলির মধ্যে আখরোট অত্যন্ত পুষ্টিকর শুকনো ফল। তবে আখরোট খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে অনেকের মনে বিভ্রান্তি থাকে। এর ফলে আখরোট খাওয়ার লাভের চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়ে থাকে।আখরোটের নিউট্রিশানাল ভ্যালু৩০ গ্রাম আখরোটে১. ৩.৮৯ গ্রাম কার্বোহাইড্রেটস২. ১ গ্রাম শর্করা৩. ২ গ্রাম ফাইবার৪. ০.৭২ মিলিগ্রাম আয়রন৫. ৫ গ্রাম প্রোটিন৬. ২০ গ্রাম ফ্যাটযএ ছাড়াও আখরোটে ফসফরাস, ভিটামিন বি৬, ম্যাগ্নেশিয়াম, কপার, মনোআনস্যাচুরেটেড ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ভিটামিন, মিনারেল উপস্থিত। মনোআনস্যাচুরেটেড ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের কারণে আখরোটের হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। ভেজানো আখরোট খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।ভেজানো আখরোট খাওয়ার উপকারিতা১. মধুমেহ রোগীদের জন্য উপকারী আখরোট।২. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে হজমে সাহায্য করে আখরোট।৩. হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।৪. হৃদরোগের সুস্থতার জন্য উপকারী এই শুকনো ফলটি।৫. ক্যান্সারের ঝুঁকি কম করে।৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।৭. অবসাদ কম করতে সহায়ক।৮. আখরোট খেয়ে ওজন কম করা যায়।দিনে কত পরিমাণ আখরোট খাওয়া উচিতএক দিনে ১ থেকে ২টি আখরোট খাওয়া উচিত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও পাচন শক্তি দুর্বল হলে দিনে শুধুমাত্র একটা আখরোট খাওয়া উচিত। খাওয়ার আগে রাতে আখরোট ভিজিয়ে রাখা উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভেজানো আখরোট ও অন্যান্য ড্রাইফ্রুট শরীরের সম্পূর্ণ কোলেস্টেরল স্তর কম করতে সাহায্য করে। গর্ভবতী মহিলাদেরও ভেজানো আখরোট খাওয়া উচিত। সকালে আখরোট খেলে ক্লান্তি দূর হয় এবং শরীরে রক্তচাপের স্তর নিয়ন্ত্রণে থাকে।