
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পরে প্রায় তিন বছর কেটে গিয়েছে। করোনা সম্পর্কে এখন অনেক ধারণাই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে বিজ্ঞানীদের। কিন্তু এর প্রতিষেধক সম্পর্কে এখনও অনেক কিছুই জানা বাকি। কোন টিকায় আটকানো যাবে করোনা, কোন ওষুধে কাজ হবে সবচেয়ে বেশি— এমন অনেক প্রশ্নের উত্তরের পিছনেই ছুটে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। তার সবচেয়ে বড় কারণ, করোনা প্রতি নিয়ত নিজের রূপ বদলাচ্ছে। তাই প্রতিষেধক বা টিকার ক্ষেত্রেও আগামী দিনে বদল আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এরই মধ্যে একটি গবেষণায় উঠে এল নতুন তথ্য। করোনা আটকাতে পারে দু’টি বিশেষ জংলা গাছের ফুলের রেণু। এই রেণুতে থাকা উপাদান করোনার যে কোনও রূপের বিরুদ্ধেই নাকি দারুণ বাবে কাজ করতে পারে। এমনই দাবি করা হয়েছে গবেষণায়।
সম্প্রতি এমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি গবেষণা চালানো হচ্ছিল বিভিন্ন ফুলের নানা উপাদান নিয়ে। তখনই গবেষকদের নজরে আসে ‘টল গোল্ডেনরড’ এবং ‘ইগল ফার্ন’ নামের দু’টি জংলা গাছের ফুলের রেণুতে রয়েছে বিশেষ উপাদান। এই উপাদানটি কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে দারুণ ভাবে কাজ করছে। এবং এটি থেকেই বিজ্ঞানীদের অনুমান, আগামী দিনে এই উপাদানটিকে ব্যবহার করে করোনার প্রতিষেধক তৈরি করা যাবে।
গবেষক দলের সদস্য এবং মুখপাত্র কাসান্ড্রা কুয়াভ বলেছেন, ‘আগামী দিনে এই দুই গাছের উপাদানকে কাজে লাগিয়ে করোনার প্রতিষেধক তৈরি করা যেতেই পারে। তার জন্য এই উপাদানটিকে সংগ্রহ করতে হবে। এবং সেটি গবেষণাগারে রেখে তার অনুরূপ উপাদান তৈরি করতে হবে।’
কিন্তু এর পাশাপাশি গবেষকরা অন্য একটি বিষয় নিয়ে সতর্কও করেছেন। তাঁদের মতে, এই উপাদানটি অত্যন্ত কম মাত্রায় থাকে গাছ দু’টির মধ্যে। ফলে এটি সংগ্রহ করা খুব পরিশ্রমসাধ্য কাজ। দ্বিতীয়ত, কোনও সাধারণ মানুষ যদি মনে করেন, এই উপাদানটি বা গাছটির কোনও নির্দিষ্ট অংশ খেলে বা অন্যভাবে ব্যবহার করলে করোনা সেরে যাবে— তাহলে তাঁরা ভুল করবেন। বরং সেটি অন্য নানা ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে।
আপাতত এই উপাদানটি নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালাবেন বলে জানিয়েছেন। এটি যে কোনও ধরনের কোভিডের বিরুদ্ধেই কাজ করতে পারে বলে, এটিকে ব্যবহার করে করোনা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে খুবই সুবিধা পাওয়া যেতে পারেও বলেও মত তাঁদের।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports