ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া ছেড়ে ইউটিউব চ্যানেল করবে, এমন কথা শুনে সেসময় কোন মা আর রাজি হবেন! আর কিরণ দত্ত যখন ইউটিউব চ্যানেল খুলেছিলেন, সেসময় বাঙালি ইউটিউবারের সংখ্যাও খুব বেশি ছিল না। তবে নিজের চ্যানেলকে প্রতিষ্ঠিত করতে কিছু কম পরিশ্রম করেননি বং গাই। তারপর একের পর এক ছক্কা।
কিরণ দত্ত-সৌরভ
নাম কিরণ দত্ত, লোকে তাঁকে ‘বং গাই’ বলেই জানেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় তিনি। কিরণ দত্তের কথায় কলেজে পড়তে পড়তেই নাকি তিনি ঠিক করে ফেলেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়া স্টার হবেন। ছোট্ট ফোন নিয়েই শুরু হয়েছিল কাজটা। তবে যেমনটা সাধারণত হয় আর কি! প্রথমে মধ্যমিত্ত মানসিকতার পরিবারের সমর্থন পাননি। তারপর যখন টাকা ঢুকতে শুরু করল, তখন তাঁর মা নাকি বুঝেছিলেন, ছেলে ভুল পথে পা বাড়াচ্ছে না।
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া ছেড়ে ইউটিউব চ্যানেল করবে, এমন কথা শুনে সেসময় কোন মা আর রাজি হবেন! আর কিরণ দত্ত যখন ইউটিউব চ্যানেল খুলেছিলেন, সেসময় বাঙালি ইউটিউবারের সংখ্যাও খুব বেশি ছিল না। তবে নিজের চ্যানেলকে প্রতিষ্ঠিত করতে কিছু কম পরিশ্রম করেননি বং গাই। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে সাফল্যের পথে পা বাড়ান কিরণ দত্ত ওরফে 'বং গাই'। তারপর একের পর এক ছক্কা। ভিডিয়ো পোস্ট করা মাত্রই লক্ষ লক্ষ ভিউ হয়েছে। তারপর জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সর 'বং গাই'। সেখানেই দাদা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথায় কথায় তিনি বলে বসেন, ঠিক কত টাকা আয় করেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়া স্টাররা কত টাকা আয় করেন তা নিয়ে লোকজনের কৌতুহলের শেষ নেই। তবে এটা নিয়ে কখনও প্রকাশ্যে আলোচনা করেন না কিরণ দত্ত। কারণ, সেটা নাকি বলা যায় না। তাই 'দাদা' সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও যখন লোকজনের কৌতুহল নিরসনে 'বং গাই'-কে এই প্রশ্ন করেন, তখন তিনি সরাসরি জবাব দেননি। তবে কিছুটা ইঙ্গিতপূর্ণ জবাব দেন।
সৌরভ অনুমান করে বলেন, ‘তো মাস গেলে ভালোই রোজগার হয় তো, তা প্রায় ১০-১২ লক্ষ!’ উত্তর কিরণ দত্ত জানান, তিনি সেটা বলতে পারবেন না, তবে হ্যাঁ, ভালোই হয়, কাছাকাছি। আর একথা চমকে যান সৌরভ। মজা করে বলেন, 'কিরণ একটা চাকরি দেবে?' এমন কথায় কিরণও হেসে ফেলেন। বলেন, ‘নিশ্চয়…’
প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় বং গাই কিরণ দত্তের অনুগামী লক্ষ লক্ষ নেটিজেন। মোট ৩৫ লক্ষ মানুষ তাঁকে অনুসরণ করেন। ৩৬ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার তাঁর।